২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / ভোর ৫:৩৪
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / ভোর ৫:৩৪

লকডাউনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল চীন

চীনে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনাভাইরাসরে সংক্রমণ। সংক্রমণ রোধে সরকাররে জিরো টলারেন্স বা জিরো কোভিড নীতিতে কাজ হচ্ছে না, বরং প্রতিনিয়ত প্রাণঘাতী ভাইরাসটি সংক্রমণ নতুন রেকর্ড র্স্পশ করছে। এমন পরস্থিতিতে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও জিরো কোভিড নীতিতে অটল শি জিনপিং প্রশাসন। 

গত বৃহস্পতিবার উত্তর-পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের রাজধানী উরুমকিতে একটি ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। একটি আবাসিক ভবনে এ ঘটনা ঘটলে তাতে প্রাণ হারান প্রায় ১০ জন। ২১তলা পর্যন্ত আগুনের ধোঁয়া পৌঁছে যায়। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। ভবনটি ছিল লকডাউনের আওতায়।

এরপর থেকে চীন সরকারের এমন সিদ্ধান্তে  নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র সাংহাইয়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে কঠোর নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার সাংহাইয়ের সব বড় সড়কের স্থানে স্থানে নীল রংয়ের ধাতব ব্যারিকেড দেখা গেছে। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক টহলও পরিলক্ষিত হয়েছে বিভিন্ন সড়কে। এছাড়া দোকান-পাট, শপিংমল ও ক্যাফেগুলোও বন্ধ ছিল। ব্যাপক এই নিরাপত্তার জেরে রোববার রাতের পর থেকে এখন পর্যন্ত সাংহাইয়ে কোনো জনসমাবেশ হয়নি।

এর আগে কয়েকদিন বিভিন্ন বিক্ষোভে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর কমিউনিস্ট পার্টির পদত্যাগের দাবিতে অনেককে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওরত দেখা যায়, সেখানকার জনগণ ”এমন সম্রাট চাইনা, চিরকালের শাসক চাইনা” এমন স্লোগান দিচ্ছে। চীনের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে জনসম্মুখে এমন বিরোধিতার ঘটনা দেশটিতে বিরল। 

প্রসঙ্গত কঠোর লকডাউন ‘জিরো কোভিড’ নীতির আওতায় থাকার পরও সোমবার চীনে রেকর্ড পরিমাণ করোনা রোগী শনাক্ত হয়। যার সংখ্যা গত কয়েক মাসকে ছাড়িয়ে প্রায় ৪০ হাজারে দাঁড়ায়। 

Facebook
Twitter
LinkedIn