দেশের করোনা পরিস্থিতি দিন দিন চরম অবনতির দিতে যাচ্ছে। তাই চলমান লকডাউন আরেক দফা বাড়ানো নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল হতে পারে।
এছাড়া ১৪ জুলাইয়ের পরও কঠোর বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি এ-ও বলেন, বিধিনিষেধে শিথিলতা থাকছে কি না, সেটি পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বিষয়ে সোমবার রাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর আগামীকাল প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, গত রোজার ঈদে বিধিনিষেধ শিথিল করার মাসুল এখন দিতে হচ্ছে। তাই এবারের ঈদে তা শিথিল হওয়ার সম্ভাবনা কম। কোরবানির পশুর হাটের জন্য কিছু ছাড় দেয়া হতে পারে। তবে কোনোভাবেই চলবে না গণপরিবহন। ঈদ উপলক্ষে মানুষ যেন শহর ছাড়তে না পারে সেদিকেও নজর থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
এদিকে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনার বিষয়ে গত শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে অনলাইনে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসসহ সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজিরা যুক্ত ছিলেন।
বৈঠকে করোনা পরিস্থিতির সার্বিক চিত্র নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর কর্মহীন মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা করে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করার বিষয়ে মতামত তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া ঈদে ঘরমুখো মানুষ যেন স্বাভাবিকভাবে বাড়ি ফিরতে পারে, সে জন্য যানবাহন চলাচলের সুযোগ করে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। এ-সংক্রান্ত আলোচনার সারসংক্ষেপ রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারসংক্ষেপ অনুমোদন করলে আগামী বুধবারের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।