করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে চলমান ‘লকডাউন’ আরও সাতদিন বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে ২৩ মে (রোববার) প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে চলমান লকডাউনসহ আগের ‘কঠোর নিষেধাজ্ঞা’র সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কোভিড-১৯ মোকাবেলা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশে। এবার লকডাউন বাড়ানোর জন্য এখন পর্যন্ত কোনো সুপারিশ করেনি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ স্বঃপ্রণোদিত হয়ে এই প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। তাই প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাবে কতটা সায় দেবেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে দেশে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। প্রথমে ঢিলেঢালাভাবে চললেও পরে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে দেশজুড়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ দেওয়া হয়। পরে ৪ দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়, যা আগামী ২৩ মে মধ্যরাত পর্যন্ত থাকবে।
চলমান এই লকডাউনে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাস সার্ভিস, লঞ্চ, বিমান ও রেল যোগাযোগ। তবে পরবর্তীতে অর্ধেক আসন খালি রেখে সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস ও অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু করা হয়, যা এখনো চলমান রয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি আন্তর্জাতিক রুটেও ফ্লাইট চালু করা হয়েছে।
লকডাউনের কারণে জনগণের জীবন-জীবিকা ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানে এর প্রভাব পড়েছে। তাই সরকার লকডাউনের মেয়াদ বাড়াতে ততটা আগ্রহী নয়। তাছাড়া নতুন রোগী শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে নেমে আসায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু এরপরও উদ্বেগ দূর হচ্ছে না দেশের বিভিন্ন এলাকায় করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার কারণে। এ বাস্তবতার আলোকেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বলে জানা গেছে। একই কারণে বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত আরও এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।