৫ দিনের বিরতির পর সোমবার বিপিএলে মুখোমুখি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বেলা সাড়ে ১২টায় টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক নাইম ইসলাম।
আগে ব্যাটিং পেয়ে ঝড়ো ইনিংস খেললেন ফাফ ডু প্লেসি। প্রোটিয়া তারকার ৫৫ বলে ৮৩ এবং পরে ক্যামেরুন ডেলপোর্টের ২৩ বলে ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৮৩ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাড় করিয়েছে কুমিল্লা।
ছুটি কাটিয়ে এ ম্যাচে একাদশে ফিরেছেন লিটন দাস। ফিরেই দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তবুও ৩ রানে আক্ষেপ রয়েই গেল তার।
৩৪ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেছেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার।
চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন নাসুম আহমেদ।
এ ম্যাচের আগে অধিনায়কত্ব পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে নাটক চলেছে চট্টগ্রাম দলে।
অধিনায়কত্ব হারিয়ে ক্ষোভে বিপিএলে খেলাই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে তাকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ফেরালে এ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন মেহিদী হাসান মিরাজ। তবে অভিমানে অধিনায়ত্ব নেননি।
আজ কুমিল্লার ওপেনিংয়ে ব্যাট হাতে নামেন মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নাসুম আহমেদের বলে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১ রান করে।
দ্বিতীয় উইকেটে ৮০ রানের পার্টনারশিপে দলকে টেনে তোলেন লিটন-ফাফ। ইনিংসের ১১তম ওভারে নাসুমকে উড়িয়ে মেরে ৪৭ রানে ধরা পড়েন ওই সাব্বিরের হাতে। ৩৪ বলের এই ইনিংসে ৫টি চার ও ১টি ছয়ের মার ছিল তার। চারে নেমে বেনি হাওয়েলের বলে ১ রানে বোল্ড হন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।
এরপর ঝড়ো ইনিংস খেলেন ফাফ ও তারই স্বদেশি ক্যামেরুন ডেলপোর্ট। শরিফুলের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ২৩ রান তুলে মাত্র ২২ বলে ৫০ রান করে ডেলপোর্ট। ৪৮ বলে ৯৭ রানের পার্টনারশিপে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৮৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় কুমিল্লা।
৫৫ বলে ৮টি চার ও ৩ ছয়ে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন ডুপ্লেসি। ডেলপোর্ট অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে।