লুহানস্কের লিসিচানস্ক শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিল ইউক্রেন। তারা জানিয়েছে, শহর রক্ষার লড়াই চালিয়ে গেলে ফল মারাত্মক হতো।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়ে দিয়েছেন, লিসিচানস্ক থেকে সেনা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ভিডিও ভাষণে তিনি বলেছেন, নতুন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শহরটি আবার দখল করা হবে।
রাশিয়া আগেই জানিয়েছিল, পুরো লুহানস্ক তারা দখল করে নিয়েছে। লিসিচানস্ক তাদের দখলে এসেছে। জেলেনস্কিও মেনে নিলেন, পূর্ব লুহানস্কের লিসিচানস্ক থেকে সেনা সরে এসেছে।
জেলেনস্কি বলেছেন, ফ্রন্টের কিছু জায়গায় শত্রুরা সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল। তারা ওখান থেকে গোলাগুলি চালাতে পারতো। তবে তারা এখন প্রচুর আধুনিক অস্ত্র পাচ্ছেন বলে জেলেনস্কি জানিয়েছেন।
দনেৎস্কে গোলা
রোববার দনেৎস্কের কিছু এলাকায় সমানে গোলাবর্ষণ করেছে রাশিয়া। এর ফলে অন্ততপক্ষে ছয়জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ১৫ জন। লুহানস্ক দখল করে নেয়ার পর রাশিয়া এবার দনেৎস্কও পুরোপুরি দখলের চেষ্টা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার সাহায্য
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী কিয়েভে গিয়ে জেলেনস্কির সাথে বৈঠক করেছেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই অ্যান্থনি আলবানিজের প্রথম ইউক্রেন সফর। তিনি কিয়েভে সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ সামরিক সাহায্য দেবেন। তার মধ্যে থাকবে ১৪টি সেনাদের নিয়ে যাওয়ার বাহন, ২০টি সাঁজোয়া যান এবং প্রচুর ড্রোন। এছাড়া আরো ১৬ জন রুশ নাগরিকের অস্ট্রেলিয়ায় ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে।
শলৎসের বক্তব্য
জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস জানিয়েছেন, রাশিয়া এক বছর ধরে ইউক্রেন আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই যুদ্ধ অনেক দিন ধরে চলতে পারে। সেই ক্ষমতা মস্কোর আছে।
সিবিএস নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে শলৎস বলেছেন, তারা আগে অত্যাধুনিক অস্ত্র চালানোর ব্যাপারে ইউক্রেনের সেনাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তারপর ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্য করা হয়েছে। সেজন্য কিছুটা দেরি হয়েছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে