২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / ভোর ৫:৪৮
২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / ভোর ৫:৪৮

শর্ত শিথিল চায় মনোস্পুলপেপার প্রসেসিং

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সর্বনি ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের নির্দেশনা পরিপালনে রাইট শেয়ার ইস্যু ও সহযোগীকে অধিভুক্ত করবে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মনোস্পুল পেপার ও পেপার প্রসেসিং। রাইট শেয়ার ইস্যু ও সহযোগীকে অধিভুক্তের মাধ্যমে কোম্পানি দুটির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার বেশি হবে বলে জানানো হয়েছে।

তবে রাইট শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে কোম্পানির তালিকাভুক্তি হওয়ার ৩ বছর সম্পন্ন করার শর্ত পূরণ করতে হবে, যা কোম্পানি দুটির হয়নি। তাই পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার শর্ত পূরণে তালিকাভুক্তির ৩ বছর হওয়ার শর্ত থেকে অব্যাহতি চেয়েছে বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড এবং পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। সম্প্রতি এ বিষয় জানিয়ে বিএসইসির কাছে আবেদন করেছে

কোম্পানি দুটি।

মনোস্পুল পেপারের চিঠিতে বলা হয়েছে, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯ কোটি ৩৮ লাখ থেকে ৩০ কোটি টাকায় বাড়ানোর জন্য বিএসইসির কাছ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাই বিএসইসির আদেশ পালনে কোম্পানি প্রথম ধাপে ১:১ (১টি শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার) অনুপাতে রাইট শেয়ার ইস্যু করে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানানো হয়, বিএসইসির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ঢাকা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই-সিএসই) কোম্পানির শেয়ার পুনঃতালিকাভুক্তির তিন আর্থিক বছর পূর্ণ হওয়ার আগে কোম্পানি রাইট শেয়ার ইস্যু করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। একই সঙ্গে বিএসইসির অবগতির জন্য জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরূপ প্রভাবের পরেও বিশ্ব অর্থনীতিতে মনোস্পুল পেপারের ব্যবসা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে। এছাড়া বিএসইসি নিয়ম এবং নির্দেশাবলি মেনে চলার মাধ্যমে কোম্পানিটি উপকৃত হচ্ছে, যা এর ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে জানানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানি বিএসইসির উল্লিখিত শর্ত মওকুফের জন্য আবেদন জানায়,  যাতে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর জন্য রাইট শেয়ার ইস্যু করা যায়।

কোম্পানিটির কাছ থেকে আরও জানানো হয়, পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার শর্ত মেনে চলার জন্য কোম্পানি ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৬ টাকা রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে প্রথম ধাপে উত্তোলন করবে এবং রাইট শেয়ার ইস্যুর খরচ মেটাতে, ব্যাংক লোন পরিশোধ এবং ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সেই তহবিল ব্যবহার করবে।

এছাড়া পরিশোধিত মূলধন ১৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় উন্নীত করার পরপরই পার্ল পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের একীভূতকরণের পদক্ষেপ নেয়া হবে। এতে মনোস্পুল পেপারের পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা বা তার বেশি হবে বলে জানিয়েছে এবং এ বিষয়ে বিএসইসির সহযোগিতা চেয়েছে কোম্পানিটি।

অপরদিকে পেপার প্রসেসিং একইভাবে বিএসইসিকে জানিয়েছে, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা থেকে ৩০ কোটি টাকা করতে কোম্পানি প্রথম ধাপে ১:১ (১টি শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার) অনুপাতে রাইট শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কিন্তু বিএসইসির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ঢাকা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই-সিএসই) কোম্পানির শেয়ার পুনঃতালিকাভুক্তির তিন আর্থিক বছরপূর্ণ হওয়ার আগে কোম্পানি রাইট শেয়ার ইস্যু করার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই কোম্পানি বিএসইসির উল্লিখিত শর্ত মওকুফের জন্য আবেদন জানায়, যাতে কোম্পানি পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর জন্য রাইট শেয়ার ইস্যু করতে পারে।

এদিকে কোম্পানিটি প্রথম ধাপে রাইট শেয়ার ইস্যু করে ১০ কোটি ৪৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা সংগ্রহ করবে। সংগ্রহকৃত টাকা কোম্পানি রাইট শেয়ার ইস্যুর খরচ, ব্যাংক লোন পরিশোধ এবং ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে ব্যবহার করবে।

এছাড়া রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৯০ লাখ টাকা হওয়ার পরপরই মাগুরা পেপার মিলস লিমিটেডকে একীভূত করার মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা করার জন্য পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ফলে পেপার প্রসেসিংয়ের পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি বা এর বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে এবং এ বিষয়ে বিএসইসির সহযোগিতা চেয়েছে।

এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কোম্পানি দুটির সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমান শেয়ার বিজকে জানান, ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে তালিভুক্ত হওয়া এবং ব্যবসা পরিচালনায় বিএসইসি ও ডিএসই থেকে অনেক বিষয়ে সহযোগিতা করেছে। ফলে গত দুই বছর কোম্পানি দুটি কভিড-পরবর্তী সময়ে ও বৈশ্বিক অর্থনীতির মন্দা অবস্থাতেও ভালো ব্যবসা করেছে। এতে গত দুই বছর ২০২১ ও ২০২২ সালে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এখন ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের নির্দেশ পরিপালনে ৩ বছরের তালিকাভুক্তির শর্ত বাধা হয়ে আছে। বিএসইসি থেকে যদি এ শর্ত হতে অব্যাহতি দেয়া হয়, তবে কোম্পানি দুটি পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির বিষয়ে কাজ করতে পারবে বলে জানান তিনি। 

Facebook
Twitter
LinkedIn