২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৬:২৫
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৬:২৫

শাস্তির মুখে সুজন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) যেন সমালোচনার আসর। ঢাকা পর্ব থেকে একাধিক বিতর্কিত ঘটনার পর চট্টগ্রাম পর্বেও ছিল সেই একই চিত্র। এদিকে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আবার অনিয়ম চর্চা মাঠে, শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে বরিশালের দেয়া ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে খুলনা। জয়ের জন্য যখন তারা দ্বারপ্রান্তে প্রয়োজন মাত্র ৪, তখনই সরাসরি টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে একটি দৃশ্য যেখানে দেখা যায় খুলনার প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ম্যাচের দিকে নজর দেয়ার পাশাপাশি ধূমপান করছেন।

ফলে সাবেক এই বাংলাদেশের ক্রিকেটার ও বর্তমান টিম ডিরেক্টরের এমন ভিডিও ভাইরাল হবার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনা। 

ক্রিকেট সমর্থকদের প্রশ্ন- জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান টিম ডিরেক্টর হয়েও খালেদ মাহমুদ সুজন এ কী করলেন? ড্রেসিংরুমে ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িযে ধূমপান করা যে ক্রিকেটীয় রীতি, নীতি ও সংস্কৃতির সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়। শুধু লোক নিন্দার মুখে পড়া নয়। এমন কাজ করে অনিবার্য শাস্তির অপেক্ষায় সুজন।

এদিন শেষ ম্যাচটির রেফারির দায়িত্বে ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার দেবব্রত পাল। দেবব্রত যদিও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে প্রকাশ করছে না। তবুও তিনি জানান, তিনি শেরে বাংলা স্টেডিয়াম থেকে খেলা শেষে ফেরার পর মোবাইলে ফুটেজটি দেখেছেন। এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে চাননি দেবব্রত। শুধু বলেছেন, ড্রেসিংরুমে ধূমপান ক্রিকেটীয় স্পিরিটের পরিপন্থী অবশ্যই।

এছাড়া এ বিষয়ে রেফারি দেবব্রত পালের কথা, আমি শুধু ফুটেজ দেখেছি। এ নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।

সাধারণত বয়সে তরুণ ও অনভিজ্ঞদের কেউ এই কাজ করলে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়। কিন্তু খালেদ মাহমুদ অনেক অভিজ্ঞ। এছাড়া বিপিএলের শুরু থেকেই তিনি কোচ। সেক্ষত্রে সুজনের অর্থদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

Facebook
Twitter
LinkedIn