২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৩:২২
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৩:২২

শেয়ারবাজার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব করবে সরকার: অর্থমন্ত্রী

শেয়ারবাজার উন্নয়নে সরকার প্রয়োজনীয় সব করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেই সঙ্গে শেয়ারবাজারকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর উল্লেখ করে সেখানে বুঝেশুনে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

অর্থনৈতিক ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠক শেষে বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘শেয়ারবাজারের উন্নয়নে যা যা নীতি, সহায়তা দরকার সরকারের পক্ষ থেকে সবকিছু করা হবে। অর্থনীতি যত শক্তিশালী হবে, শেয়ারবাজার তত মজবুত হবে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সাপোর্ট দেব।’

শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন চাঙ্গাভাব বিরাজ করার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বেশির ভাগ দিনই দরপতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শেয়ারবাজার। গত রোব ও সোম পতনের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করে। এই দুই দিনে সূচক কমে ১৯০ পয়েন্ট।

টানা দর পতনের প্রতিবাদে গত সোমবার মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক দরপতনের প্রসঙ্গ টেনে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই বাজারে লাভ-লোকসান দুটোই আছে। কেউ যদি শুধু লাভের আশায় বিনিয়োগ করেন তাহলে ঠিক হবে না। এখানে ঝুঁকি আছে এটা মেনেই বিনিয়োগ করতে হবে তাকে। সুতরাং আমি বলব আপনারা দেখেশুনে বিনিয়োগ করুন।’

রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের শেয়ার ছাড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো যখন লাভজনক অবস্থায় আসবে, তখন পর্যায়ক্রমে আনা হবে।’

২৬টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার শেয়ারবাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, বিষয়টি এখন বন্ধ কেন?

জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঠিকই বলেছেন, একসময় উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। নানা কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।’

এ বিষয়ে নতুন করে কোনো উদ্যোগ নেয়া হবে কি না, জানতে চাইলে কোনো জবাব দেননি অর্থমন্ত্রী।

মূল্যস্ফীতি নিয়েও কথা বলেন মুস্তফা কামাল। তার দাবি, বাজারে সব কিছুর দাম যখন চড়া থাকলেও মূল্যস্ফীতি সহনীয় রয়েছে। তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি বাড়েনি, প্রতিনিয়ত পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে এ কথা স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অভ্যন্তরীণভাবে এর প্রভাব পড়েনি।’

ডলারের বাজার অস্থিরতা কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডলারের দাম উঠা নামা করবে, এটাই স্বাভাবিক। দাম নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। চাহিদা বেশি থাকলে দাম বাড়বে আর কম থাকলে দাম কমবে। সরকার এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’

Facebook
Twitter
LinkedIn