টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে খেলতে নামলেও লঙ্কানদের ছিল এশিয়া কাপ জয়ের আত্মবিশ্বাস। প্রথম ম্যাচে তাদের সেই আত্মবিশ্বাসে বড় আঘাত হেনেছে নামিবিয়া দল। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে লঙ্কানদের ৫৫ রানে হারিয়েছে।
টস জিতে নামিবিয়াকে ব্যাটিংয়ে নামানোর পর প্রায় ১৫ ওভার ছিল লঙ্কানদেরই আধিপত্য। ১৪.২ ওভারে ৯৩ রানে তুলে নিতে পারে ষষ্ঠ উইকেট। কিন্তু ফরম্যাটটা টি-টোয়েন্টি হওয়ায় আত্মতুষ্টিতে ভুগলে তো আর চলে না। যার প্রমাণ শেষ ৫ ওভার! দুই নামিবিয়ান পাওয়ার হিটার জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক ও জেজে স্মিট পুরো ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন শেষ দিকে। শেষ ৫ ওভারে তারা বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে তুলেছেন ৬৮টি রান! রান আউটে শেষ বলে আউট হওয়া ফ্রাইলিঙ্ক ২৮ বলে করেছেন সর্বোচ্চ ৪৪। তাতে ছিল ৪টি চার। স্মিটের স্ট্রাইকরেট ছিল আরও বেশি। ১৬ বলের ক্যামিও ইনিংসে ৩১ রানে অপরাজিত থেকেছেন। তাতে ছিল ২টি চার ও ২টি ছয়।তাদের বিধ্বংসী ভূমিকায় ৭ উইকেটে নামিবিয়া করেছে ১৬৩।
শেষ ৪ ওভারে ৫৭ রান উঠায় লজ্জার রেকর্ডেও নাম উঠেছে লঙ্কানদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডেথ ওভারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তারা হজম করেছে।
লঙ্কানদের হয়ে ৩৭ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন প্রমোদ মাদুশান। একটি করে নিয়েছেন মাহিশ থিকশানা, দুশমন্থ চামিরা, চামিকা করুনারত্নে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
জবাবে পাওয়ার প্লেতেই লঙ্কান দল বিপদে পড়ে যায়। ২১ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন কুশল মেন্ডিস (৬), পাথুম নিসাঙ্কা (৯) ও দানুশকা গুনাথিলাকা (০)। এর পেছনে বড় অবদান ছিল পেসার বেন শিকোঙ্গোর। দুটি উইকেট নিয়েছেন এই সময়।
বিপদের সময় বড় জুটির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলেও ধনাঞ্জয়া, রাজাপাকশে ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা তা মেটাতে পারেননি। ধনাঞ্জয়ার সঙ্গে ১৯ রানের জুটি গড়েন রাজাপাকশে। তার পর অধিনায়ক শানাকা-রাজাপাকশে যোগ করেন ৩৪ রান। তাদের বিদায়ের পর হারের দিকে এগিয়েছে লঙ্কানদের ইনিংস। রাজাপাকশে ২১ বলে ২০ রান করেছেন আর শানাকা ২৩ বলে করেছেন ২৯। ১৯ ওভারে ১০৮ রানেই শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে গেছে।
১৬ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন ডেভিড উইজে। ১৮, ২২ ও ২৬ রানে সমসংখ্যক উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে বের্নার্ড স্কল্টজ, বেন শিকোঙ্গো ও জ্যান ফ্রাইলিঙ্কও। ব্যাট-বলে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে অবদান রাখায় ম্যাচসেরা হয়েছেন ফ্রাইলিঙ্ক।