লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে পুঁজিবাজারে শেয়ারের দাম ও মূল্যসূচক। আজ (৯ সেপ্টেম্বর) নিয়ে টানা ৮ দিন সূচক বেড়েছে বাজারে। আর প্রতিদিনই হয়েছে মূল্যসূচকের নতুন নতুন রেকর্ড।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬৮ দশমিক পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ২৫৮ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে উঠেছে। এটি এই সূচকের সর্বোচ্চ অবস্থান। আজ নিয়ে সর্বশেষ ৮ লেনদেন দিবসে এই সূচক বেড়েছে ৪৩৫ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
অতি চাঙ্গা বাজারে ভাল শেয়ারের পাশাপাশি দূর্বল মৌলের শেয়ারের দামও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। বরং ভাল কোম্পানির শেয়ারের চেয়ে মন্দ কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। এই মূল্য বৃদ্ধির পেছনে বিধিবহির্ভূত মার্জিন ঋণের ভূমিকা আছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ডিএসইকে নির্দেশ দেয়।
ধারণা করা হয়েছিল, এই নির্দেশনার ফলে বাজারের পাগলা ঘোড়ার গলায় লাগাম পড়বে। বাস্তবে তেমন কিছু হয়নি। লেনদেনের শুরুতে বাজারে মূল্য সংশোধনের আভাস দেখা গেলেও তা কিছু সময়ের মধ্যে মিলিয়ে যায়।
বাজার চিত্রে দেখা যায়, লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টা ডিএসইএক্স কিছুটা নিম্নমুখী ছিল। এই সময়ে সূচকটি আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২৮ পয়েন্ট কমে যায়। কিন্তু এর পরই বাজার পুরো ইউটার্ন করে। এক পর্যয়ে ডিএসইএক্স ৭ হাজার ২৭৫ পয়েন্টে উঠে যায়, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৭৬ পয়েন্ট বেশি। তবে পরবর্তীতে সূচক কিছুটা কমে আসে।
সূচকের বড় উল্লম্ফন হলেও বাজারে শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ও মূল্য হ্রাসকৃত কোম্পানির সংখ্যা ছিল সমান সমান। কিন্তু কয়েকটি বড় মূলধনসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির কারণে সূচক অনেক বেড়ে যায়।
আজ ডিএসইতে ৩৭৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ১৭৭টির দাম আগের দিনের চেয়ে বৃদ্ধি পায়। দর হারায় সমসংখ্যক কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। আর ২২টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।