২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ২:৫১
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ২:৫১

সংসার ভাঙল মাহির

সংসারের বিচ্ছেদটা অনেক আগেই ঘটেছে। কিন্তু সেটি মুখে স্বীকার করেননি চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। বরং স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে পর্দার মতো বাস্তব জীবনেও অভিনয় করে গেছেন নিত্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই অভিনয়েরও লাগাম টানলেন এ অভিনেত্রী।২২ মে রাতে ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে সেই ঘোষণাই দিলেন। বলেছেন, ‘এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষটার সঙ্গে থাকতে না পারাটা অনেক বড় ব্যর্থতা।’ ভালো মানুষ বলতে স্বামী পারভেজ মাহমুদ অপুকেই বুঝিয়েছেন এ নায়িকা। অবশ্য পরের লাইনগুলোতেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।তিনি আরও লিখেছেন, ‘পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শ্বশুরবাড়ির মানুষগুলোকে আর কাছ থেকে না দেখতে পাওয়া, বাবার মুখ থেকে মা জননী, বড় বাবার মুখ থেকে সুনামাই শোনার অধিকার হারিয়ে ফেলাটা সবচেয়ে বড় অপারগতা। আমাকে মাফ করে দিও। তোমরা ভালো থেকো। আমি তোমাদের আজীবন মিস করব।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিভোর্সের বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন মাহি। তবে কবে নাগাদ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিংবা ডিভোর্স পেপার ইস্যু করেছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই বলেননি এ নায়িকা।এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে থেকেই স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে মাহির। তার ঘনিষ্ঠ একজন জানিয়েছেন, ডিভোর্স পেপার তিনি দেখেছেন। এমনকি সে সময় দেনমোহরের টাকাও পরিশোধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অপু। কিন্তু সেসব নাকি কিছুদিন পরই মিটে যায়। এরপর নিয়মিত বিরতি দিয়ে এ জুটির ছবি দেখা যেত সোশ্যাল মিডিয়ায়, যেখানে নিজেদের সুখী দম্পতি বলে দাবি করতেন মাহি।প্রসঙ্গত, সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ২০১৬ সালে বিয়ে করেছিলেন মাহিয়া মাহি। বিয়ের এক বছর পর থেকেই তাদের মধ্যে বিচ্ছেদের কথা শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে দাম্পত্য জীবনের পাঁচ বছরের মাথায় বিচ্ছেদের ঘণ্টা ঠিকই বাজিয়েছেন এ নায়িকা।

Facebook
Twitter
LinkedIn