বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনও কমেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৪.৮৩ শতাংশ। অন্যদিকে ডিএসইতে বাজার মূলধনেও নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ৪৩০ কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ১৩ লাখ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭ হাজার ৫৫০ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ১ হাজার ১১৯ কোটি ৩২ লাখ টাকার বা ১৪.৮৩ শতাংশ লেনদেন কমেছে।
ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫৫ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২০ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৯০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচিত সপ্তাহে বাজারমূলধনে শীর্ষ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৭ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে ২ হাজার ৬০১ পয়েন্টে নেমেছে।
অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক কমেছে ১৭.২১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৬ শতাংশ।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৮২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯০টির, কমেছে ২৭০টির। আর ১৮টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।
অন্যদিকে ডিএসইতে বাজার মূলধনও কমেছে বড় ব্যবধানে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ১১ হাজার ৯৪০ কোটি ৪৮ লাখ ৬ হাজার ৪৯২ টাকা বা ২.১২ শতাংশ বাজার মূলধন কমেছে।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৮ কোটি ৬০ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৫ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৮ কোটি ১২ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৩ টাকায়।