বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের মিশ্রাবস্থায় লেনদেন শেষ হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে টাকার অংকে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে প্রায় ১৪.২১ শতাংশ। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক ও লেনদেন দুটোই কমেছে।
ডিএসই ও সিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পরযালোচনা করলে এ তথ্য পাওয়া যায়।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ৩ হাজার ৯০৯ কোটি ১০ লাখ ৩৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৫৫৬ কোটি ৪৪ লাখ ১৯ হাজার টাকার শেয়ার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬৪৭ কোটি ৩৩ লাখ ৮ হাজার টাকার বা ১৪ দশমিক ২১ শতাংশ।
সপ্তাহ শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স এর অবস্থান দাঁড়ায় ৪ হাজার ৮৭৯ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট। সপ্তাহের শুরুতে সূচকটির অবস্থান ছিল ৪ হাজার ৯০৫ দশমিক ০৪ পয়েন্টে। সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক কমেছে ২৫ দশমিক ০৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৫১ শতাংশ।
ডিএসইর সেরা ৩০ কোম্পানির সূচক ডিএসই-৩০ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১ হাজার ৭১১ দশমিক ৬০ পয়েন্ট থেকে ১ হাজার ৭০১ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে নেমে আসে।
আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস এক হাজার ১১৭.৪৪ পয়েন্ট থেকে বেড়ে হয়েছে এক হাজার ১২৮ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে উঠে আসে।
আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৬৪টি কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৯টির বা ২৭ দশমিক ১৯ শতাংশ কোম্পানির। আর ৫৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ বা ১৯৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এ সময়ে ৬৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আলোচ্য সপ্তাহে ১১২ কোটি ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ডিএসই সার্বিক সূচক কমেছে দশমিক ৭০ শতাংশ