প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার সপ্তাহ পার হতেই স্বরূপে ফিরছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিনেটে রিপাবলিকান সংখ্যালঘু নেতা কেভিন ম্যাককার্থির সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন তিনি।
হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর থেকে এক সপ্তাহ চুপচাপ ছিলেন ট্রাম্প। যা তার স্বভাববিরুদ্ধ। ট্রাম্প-ম্যাককার্থির মধ্যে বৈঠকটি হয় ফ্লোরিডার পাম বিচে ট্রাম্পের মার-এ-লাগো রিসোর্টে। এএফপি।
যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান শিবিরে বিভক্তির মুখে ম্যাককার্থি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজনৈতিক ঐক্যের স্বার্থে। এ সময় ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের সাহায্য চান ম্যাককার্থি। ট্রাম্পও সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে কাজ করবেন ট্রাম্প। বাহ্যত, ট্রাম্পের সহযোগিতা ছাড়া রিপাবলিকান দলের উপায়ও নেই। প্রতিনিধি পরিষদে মাত্র ১০ জন ও সিনেটে পাঁচজন রিপাবলিকান সদস্য ছাড়া দলের আইনপ্রণেতাদের কেউই ট্রাম্পবিরোধী নন।
আবার ক্ষমতা ছাড়ার পর রিপাবলিকান দলের সমর্থকদের মধ্যে ট্রাম্পের সমর্থনও বেড়েছে। ক্ষমতার শেষ দিকের ৭৬ শতাংশ থেকে বেড়ে এই সমর্থন ৮১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
ফলে ট্রাম্পের সমর্থন ছাড়া রিপাবলিকান দলের নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করেন অনেকে।
বর্তমানে সিনেটে ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার প্রক্রিয়াধীন। ট্রাম্প এই বিচার মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পাশাপাশি রিপাবলিকানদের পক্ষে কাজ করে যাবেন।
রিপাবলিকান কংগ্রেসে নেতা ম্যাককার্থি ট্রাম্পের অভিশংসনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
এ ছাড়া জর্জিয়ায় ভোট বাতিলের চেষ্টায়ও তিনি সাবেক প্রেসিডেন্টের পক্ষে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনের ফল উলটে দেওয়ার চেষ্টায় যেসব রিপাবলিকান ট্রাম্পের বিরোধিতা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন ও বাকি ক্ষেত্রে রিপাবলিকানদের পক্ষে থাকবেন আলোচিত এই সাবেক প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প নিজে না বললেও তিনি একটি রাজনৈতিক দল করতে পারেন বলে ঘনিষ্ঠজনেরা প্রচার করছেন। আবার নিজস্ব রক্ষণশীল প্ল্যাটফর্ম গঠনের প্রচারণাও আছে। ফলে রিপাবলিকান নেতৃত্ব ট্রাম্পকে ক্ষেপাতে ইচ্ছুক নন।