সব এলাকায় পানির দাম একই থাকা যৌক্তিক নয় বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বলেন, যাদের আয় কম তাদেরকে কম ট্যাক্স দিতে হয়। যাদের আয় বেশি, তাদের বেশি ট্যাক্স দিতে হয়। এই ধারণা থেকে পানির বিল সব জায়গায় যদি সমান হয়… গুলশানে যে বসবাস করে সেখানে অনেক বেশি সুবিধা। কিন্তু দরিদ্র এলাকায় বসবাসকারীদের সুবিধা কম। কিন্তু দুই এলাকার পানির বিল এক। এটা আমার কাছে যৌক্তিক কমে হয় না। সব জায়গায় পানি দাম একই হবে কেন?
আজ শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা ওয়াসা’র গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
গন্ধর্বপুরের এই প্রকল্পের মাধ্যমে ‘সারফেজ ওয়াটার’ বা নদীর পানিকে পরিশোধন করে পান উপযোগী করতে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। যা ঢাকার উত্তরা, গুলশান, বনানী ও আশপাশের এলাকায় সরবরাহ করা হবে। ‘ঢাকা এনভায়রোমেন্টারি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প’ নামে এই প্রকল্পটি ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এখান থেকে প্রতিদিন ৫০ কোটি লিটার পরিশোধিত পানি ঢাকায় পৌঁছাবো।
গন্ধবপুর পানি শোধনাগারের নির্মাণকালের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোভিডকালে তারা কাজ করেছে। আমি নিজে এবং আমার মন্ত্রণালয়ের সবাই কাজ করেছি। আমি তাদের নির্দেশ নিয়েছি। তারা কাজ করেছে। আমরা আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
প্রকল্প ব্যয়সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প ব্যয় বাড়ার কিছু যৌক্তিক কারণ আছে। ২০১৩ সালে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সে প্রকল্প ২০২০ সাল পর্যন্ত এসেছে। এসময়ের মধ্যে অনেক জিনিসের দামপত্রের দাম বেড়ে গেছে। ফলে প্রকল্প ব্যয় বাড়ে।
প্রকল্পটি ঢাকার এত দূরে নিয়ে আসার কারণে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকার আশপাশের মধ্যে এখানকার পানি সব থেকে ভালো।
এসময় অন্যদের মধ্যে ওয়াসা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক আবুল কাসেম, প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসান, ডিরেক্টর টেকনিক্যাল শহিদ উদ্দিন ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।