২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১২:৪৯
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১২:৪৯

সব বন্দরে সতর্কতা

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও উদ্বেগ বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশে গত শনিবার যাত্রা করেও মাঝপথ থেকে অন্য ফ্লাইটে দেশে ফেরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল দিনভর বৈঠক করেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা। এরপরই দেশের বন্দরে বন্দরে সতর্কতা জারি করে স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও নতুন এই ধরনটির সংক্রমণ প্রতিরোধে চার দফা

সভার পরে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে তাদের সুপারিশ-সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এতে জানা যায়, কমিটির পক্ষ থেকে আফ্রিকা, ইউরোপের কয়েকটি দেশে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার পর ওই দেশগুলোর সঙ্গে যাতায়াত নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সভা-সমাবেশ সীমিত করাসহ চারটি সুপারিশ করা হয়। এগুলো হলো- ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে যাত্রা আগমন বন্ধ করতে হবে। কোনো ব্যক্তির সংক্রমিত দেশগুলোতে গত ১৪ দিনের মধ্যে ভ্রমণের ইতিহাস থাকলে বাংলাদেশে আসার পর তাদের ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এবং কভিড-১৯ পজিটিভ হলে আইসোলেশন করতে হবে। প্রতিটি পোর্ট অব এন্ট্রিতে স্ট্ক্রিনিং পরীক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা-সংক্রান্ত ব্যবস্থা আরও কঠোরভাবে পালন করা (স্কুল-কলেজসহ), চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা ও বিভিন্ন (রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয়) সমাবেশে জনসমাগম সীমিত করা প্রয়োজন। সবশেষে কভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষায় জনগণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিনামূল্যে পরীক্ষার সুপারিশ করা হয় কমিটির পক্ষ থেকে। এর আগে দেশের

সব বন্দরে সতর্কতা জারি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল রোববার দুপুরে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, দেশের সব প্রবেশপথে নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগ সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে উল্লেখ করে পরিচালক বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া নতুন এ ধরনকে এরই মধ্যে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ (উদ্বেগজনক ধরন) হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ বিষয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমরাও দেশের প্রবেশপথগুলোতে সতর্কবার্তা দিয়েছি।

ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে পাওয়া তথ্যগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সমকালকে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ধরনটির সংক্রমণ শুরুর পর আফ্রিকার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ স্থগিত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের সব বিমান, নৌ ও স্থলবন্দরে সতর্কবার্তা জারি, স্ট্ক্রিনিং কার্যক্রম আরও জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশের জনসাধারণকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মুখে মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোকে জোরালো প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। সুতরাং করোনার নতুন ধরনটি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতির ঘাটতি নেই বলে জানান তিনি।

Facebook
Twitter
LinkedIn