২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১:৫৪
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১:৫৪

সব বিদেশী চ্যানেল বন্ধ করে শর্ত ভেঙেছে অপারেটররা : তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিবিসি-সিএনএনসহ ১৭টি বিদেশী চ্যানেল বাংলাদেশে `ক্লিন ফিড’ পাঠানো সত্ত্বেও সেগুলো বন্ধ রেখে শর্ত ভঙ করেছেন কেবল অপারেটররা। এজন্য তারা শর্ত ভঙের অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন।

তবে কেবল অপারেটররা বলছেন, যে চ্যানেলগুলো ক্লিন ফিড দেয় সরকার সেগুলোর তালিকা সরবরাহ করলে তারা সেগুলো সম্প্রচার করবে।

বাংলাদেশে বিদেশী চ্যানেলে বিজ্ঞাপনহীন সম্প্রচার চালানোর জন্য সরকার নির্দেশ দেয়ার পর শুক্রবার থেকে বাংলাদেশে সব বিদেশী চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রেখেছেন কেবল অপারেটররা। এর ফলে সরকার এবং কেবল অপারেটররা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। মাঝখান থেকে দর্শকরা তাদের পছন্দের অনুষ্ঠান দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলছেন, বিবিসি, সিএনএন আল-জাজিরা, এনএইচকে, ফ্রান্স টিভি, রাশিয়ান টিভি, ইউরো টিভি এবং এনিমেল প্ল্যানেট- এই ধরণের ১৭টি বা তার বেশি টিভি চ্যানেলে ক্লিন ফিড আসে। কিন্তু `সেগুলো অনেকে চালাচ্ছেন না। যেটা কেবল অপারেটর লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ’।

`সুতরাং কেউ শর্ত ভঙ্গ করলে সেই শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন’, বলেন ড. মাহমুদ।

মন্ত্রী আরো বলেন, যেসব চ্যানেল ক্লিন ফিড পাঠায় না, তাদের এখানে এজেন্ট আছে। এই দায়িত্ব হল সংশ্লিষ্ট চ্যানেল এবং এজেন্টের।

`কেবল অপারেটরের যে পুরোপুরি দায়িত্ব তা নয়। কিন্তু কোন কোন কেবল অপারেটর এজেন্টদের কে পাশ কাটিয়ে স্যাটেলাইট থেকে পাইরেসি করে ডাউনলিংক করে। এজেন্ট ডাউনলিংকের অনুমোদনপ্রাপ্ত। কিন্তু কোন কেবল অপারেটর যদি পারমিশন না থাকে তাহলে ডাউনলিংক করতে পারবে না। তারা যেটা করে সেটা পাইরেসি এবং আইনবর্হিভূত’, বলেন ড. মাহমুদ।

কেবল অপারেটরদের সংগঠন কোয়াবের একাংশ যে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে, সেটাকেও “আইন বহির্ভূত” বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী।

শনিবার ক্যাবল অপারেটরস সমন্বয় কমিটি নামে কোয়াবের একটা অংশের যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ মোশারফ আলী, চার দফা দাবি জানিয়ে একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন। সেখানে বলা হয়, চৌঠা অক্টোবরের মধ্যে কেবল টিভি নিয়ে জটিলতার অবসান না হলে সমগ্র বাংলাদেশের ক্যাবল অপারেটরদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন তারা।

কোয়াব বলছে এই জটিলতা কাটানোর জন্য যখন সরকার আমাদের আলোচনার জন্য ডাকবে তখনি আমরা আলোচনা করার জন্য প্রস্তুত আছি।

আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে পারভেজ বলেন, অপারেটরদের অ্যাসোসিয়েশনের একাংশের এই ঘোষণার সাথে মূল অংশের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই।

এদিকে কেবল অপারেটরস সমন্বয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ মোশারফ আলীর সাথে এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তারা তাদের দাবি নিয়ে রবিবারই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। তারা মন্ত্রী বরাবর একটি চিঠিও লিখেছেন।

তিনি বলেন, ‘ক্লিন ফিডের বিষয়টা ব্রডকাস্টার এবং লোকাল ডিস্ট্রিবিউটরদের উপর নির্ভর করে। ক্লিন ফিড আনার বিষয়টাতে সময় লাগবে। আমারা চিঠিতে সময় চেয়েছি। আর বলেছি তার আগে সব চ্যানেল উন্মুক্ত করে দিতে’।

Facebook
Twitter
LinkedIn