লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ভর করে তিন’শ ছাড়ানো পুঁজি গড়েছিল বাংলাদেশ। পরে বোলাররাও দারুণ পারফরম্যান্স মেলে ধরলেন। ফলে আফগানিস্তান পারল না বড় লক্ষ্য তাড়া করতে। সহজ জয়ে সিরিজও নিশ্চিত করল তামিম ইকবালরা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার আফগানিস্তানকে ৮৮ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। ৩০৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৫.১ ওভারে ২১৮ রানে গুটিয়ে গেছে আফগানরা।
টানা দুই জয়ে এক ম্যাচ হাতে থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত হলো স্বাগতিকদের। বুধবার সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ৪ উইকেটে জিতেছিল তামিম-সাকিবরা।
সোমবার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। সিরিজটি আইসিসি সুপার লিগের অংশ। তাই শেষ ম্যাচও জিতে পূর্ণ পয়েন্ট অর্জনই হবে টাইগারদের লক্ষ্য।
তবে টানা দুই জয়ের সুবাদে এরই মধ্যে আইসিসি সুপার লিগে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে বাংলাদেশ। দুইয়ে নেমে গেছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
১৪ ম্যাচে ১০ জয়ে ১০০ পয়েন্ট বাংলাদেশের। ১৫ ম্যাচে ৯৫ পয়েন্ট ইংল্যান্ডের।
টস জিতে এদিন ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। দলীয় ৩৮ রানে ওপেনার তামিম ইকবাল ও ৮৩ রানে সাকিব আল হাসান ফিরে যান। ফজলহক ফারুকির শিকার তামিম ২৪ বলে ১২ ও রশিদ খানের শিকার হওয়া সাকিব ৩৬ বলে ২০ রান করেন।
তামিম-সাকিবের বিদায়ের পর ওপেনার লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম তৃতীয় উইকেটে রেকর্ড জুটি উপহার দেন। ২০২ রান আসে এই জুটিতে। তৃতীয় উইকেটে যা বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ।
লিটন ১২৬ বলে ১৬ চার ও ২ ছক্কায় ১৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তার পঞ্চম সেঞ্চুরি। মুশফিক ৯৩ বলে ৮৬ রান করেন।
আরেকটু সাবধানী হলে মুশফিক সেঞ্চুরি তুলে নিতে পারতেন। আর বাংলাদেশ শেষের ওভারগুলো কাজে লাগাতে পারলে স্কোর সাড়ে তিন শ পেরোনোরও সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু শেষ ৫ ওভারে মাত্র ৩৪ রান তুলতে পারে টাইগাররা।
৪৭তম ওভারে পর পর দুই বলে লিটন ও মুশফিক ফেরেন। মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেন পরিস্থিতির দাবি মেটাতে পরেননি।
তবে লিটন-মুশফিকের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩০৬। আফগানিস্তানের বিপক্ষে যা টাইগারদের সর্বোচ্চ।
এই রান তাড়া করে জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো আফগানিস্তানকে। কিন্তু ওপেনার রহমত শাহ ছাড়া টপ অর্ডারের কেউ জলে উঠতে পারেনি দলটির। মিডল অর্ডারে নাজিবুল্লাহ জাদরান ও মোহাম্মদ নবি লড়ায়ের বার্তা দিলেও শেষ পর্যন্ত সফল হননি।
রহমত ৭১ বলে ৫২, নাজিবুল্লাহ ৬১ বলে ৫৪ রান করেন। নবি ৪০ বলে ৩২ ও শেষ দিকে রশিদ খান ২৬ বলে ২৯ রান করেন।
বোলিংয়ে সাতজন বোলার ব্যবহার করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম। উইকেটের দেখা পেয়েছেন সবাই। আফিফ তো ১ বল করেই উইকেট পেয়ে গেছেন। ফজলহককে ফিরিয়ে তিনিই আফগান ইনিংসের ইতি টানেন। রিয়াজ হাসানকে রান আউটের ফাঁদে ফেলে উইকেট উৎসবের শুরুও করেছিলে তিনি।
২টি করে উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান। ম্যাচসেরা হয়েছেন সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস।