২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ২:৩৮
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ২:৩৮

সাকিবের পূজায় যোগ দেয়া নিয়ে যা বললেন কলকাতার আয়োজকরা

বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের কলকাতায় কালীপূজার একটি অনুষ্ঠানে থাকা নিয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে, তাকে উগ্র মৌলবাদীদের কাজ বলে মনে করেন ওই পূজা কমিটির প্রধান উদ্যোক্তা ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পরেশ পাল।

একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সাকিব আল হাসান তাদের পূজার উদ্বোধন কখনই করেননি। তাই মুসলমান হয়েও হিন্দুদের পূজায় কেন হাজির ছিলেন, সেই প্রশ্ন তুলে তার সমালোচনা করা ঠিক হচ্ছে না। খবর বিবিসির।

পূর্ব কলকাতার বেলেঘাটা অঞ্চলের বিধায়ক পরেশ পাল আরও বলেন, ওই পূজার উদ্বোধন আসলে করেছিলেন এক হিন্দু সন্ন্যাসী, সাকিব নন।

পূর্ব কলকাতার কাঁকুড়গাছি এলাকায় যে কালীপূজার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, সেই মণ্ডপটি এখন ফাঁকা।

প্রতিমা বিসর্জন হয়ে গেছে। কিন্তু পূজামণ্ডপের চারদিকে এখনও বড় বড় হোর্ডিংয়ে সাকিব আল হাসানের ছবি ছড়িয়ে রয়েছে। রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রতিকৃতিও।

গত ৫৯ বছর ধরে চলা পূজাটির মূল উদ্যোক্তা এলাকার বিধায়ক পরেশ পাল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওখানে দাঁড়িয়ে তিনি বিবিসিকে বলেন, শুনেছি সাকিব দেশে ফেরার পর ওকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়া হয়েছে। মৌলবাদী শক্তিই এসব বলছে। এটি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মতামত হতে পারে না। আমারও জন্মভিটা বাংলাদেশেই। আমি বাংলাদেশের মানুষকে খুব ভালো করে জানি, তারা এসব বলতে পারে না।

পূজা উদ্বোধনের দিন তো কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও ছিলেন। হাকিম প্রতি বছরই আমার পূজার উদ্বোধনে থাকেন।

এ বছর কলকাতায় বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রদূতসহ একাধিক মুসলমান অফিসার হাজির ছিলেন। কিন্তু তারা কেউই পূজার ধর্মীয় কোনো কাজ তো করেনি। প্রতিমা উদ্বোধন করেছেন আদ্যাপীঠের কালী পূজারি হিন্দু সন্ন্যাসী মুরাল ভাই।

কালীপূজার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভিডিও দেখিয়ে তিনি বলেন– ওখানে একটা বড় প্রদীপ রাখা ছিল। সবাই সেই প্রদীপটা জ্বালিয়েছেন। আমি যেমন জ্বালিয়েছি, তেমন সাকিব আল হাসান, ফিরহাদ হাকিম- সবাই জ্বালিয়েছেন। প্রদীপ জ্বালালেই কি জাত যায় নাকি? প্রশ্ন পরেশ পালের।

পরেশ পাল এখনও বাংলাদেশে গেলে মুসলমান বন্ধুদের বাড়িতেই থাকেন, আবার ঈদের সময়ে কোরবানির গরু কিনতেও গরুর হাটে যান তাদের সঙ্গে।

তিনি জানান, তার নির্বাচনী এলাকাতে একটা বড়সংখ্যক মুসলমান থাকেন, যারা তাকে ভোট দেয় বছরের পর বছর। তাই তার মাথাতেই আসেনি যে সাকিব আল হাসানকে কালীপূজার উদ্বোধনের মঞ্চে আমন্ত্রণ করে তিনি কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে পারেন।

পরেশ পাল বলেন, সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের পরিচয়। যদি আমাদের মাথায় আসত যে পূজার উদ্বোধনে আসার জন্য সে ধর্মীয় অনুশাসন বিরোধী কিছু করছে, তাকে কি আমি আসতে বলতাম? জেনেশুনে কি বন্ধুকে কেউ সমস্যায় ফেলে?

Facebook
Twitter
LinkedIn