ওয়েস্ট সফরে হারের বৃত্তেই আটকে থাকলো বাংলাদেশ। টেস্টে হোয়াইটওয়াশের পর প্রথম টি-টুয়েন্টিতে হার দেখতে হয়নি বৃষ্টির কারণে। কিন্তু দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে ৩৫ রানের বড় হারে পিছিয়ে রইলো সিরিজে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৯৩ রানের জবাবে ১৫৮ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
ডমিনিকার উইন্ডসর পার্ক রোসোতে ৫ বছর পর মাঠে গড়ায় আন্তর্জাতিক ম্যাচটি। জয় দিয়েই ডমিনিকার প্রত্যাবর্তন ঘটালো ক্যারিবীয়ানরা। ম্যাচের শেষদিকে সাকিব জ্বলে উঠলেও তা দলকে জেতানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। আর বাকিরা ছিল আসা-যাওয়ার মাঝে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান জড়ো করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের পক্ষে অর্ধশতক হাঁকান রভম্যান পাওয়েল ও ব্রেন্ডন কিং। ২টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়ে ঝড়ো ইনিংস খেলা পাওয়েল ২৮ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন।এছাড়া ৪৩ বলে ৫৭ রান করেন ব্রেন্ডন কিং।
বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ইসলাম জোড়া উইকেট শিকার করেন। ১ ওভার বল করে কোনো রান খরচ না করে ১ উইকেট শিকার করা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ছাড়া কমবেশি সবাই খরুচে ছিলেন।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ৪৪ রান তুলতেই একে একে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস ও এনামুল হক বিজয় এবং অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেটে ৫৫ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেন। তবে দুজনের কেউই তাদের পার্টনারশিপে দলকে জেতানোর মত ব্যাট করতে পারেননি।
২৭ বলে ৩৪ রান করে বিদায় নেন আফিফ। দলীয় রান তিন অঙ্ক স্পর্শ করার আগে নুরুল হাসান সোহানও সিঙ্গেল ডিজিটে থেকে সাজঘরে ফেরেন। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ক্রিজে নেমে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করলেও ততক্ষণে ম্যাচ আর বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে নেই।
১৯তম ওভারে সাকিব অর্ধশতক পূর্ণ করেন ৪৫ বলে। এরপর চড়াও হলেও তখন বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা ছিল একেবারেই ক্ষীণ। শেষ ওভারে বিদায় নেওয়ার আগে মোসাদ্দেক ১১ বলে ১৫ রান করেন। সাকিব ৫২ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৮ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৯৩/৫ (২০ ওভার)
পাওয়েল ৬১*, কিং ৫৭, পুরান ৩৪,
শরিফুল ৪০/২, মোসাদ্দেক ০/১, মেহেদী ৩১/১, সাকিব ৩৮/১,
বাংলাদেশ : ১৫৮/৬ (২০ ওভার)
সাকিব ৬৮*, আফিফ ৩৪, মোসাদ্দেক ১৫
শেফার্ড ২৮/২ ম্যাকয় ৩৭/২
রেজাল্ট : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৫ রানে জয়ী।