ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে শুক্রবার অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্ম দিয়ে ফের বিতর্কে সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার এদিন মেজাজ হারিয়ে স্টাম্প উপড়ে ফেলার পাশাপাশি স্টাম্প ভেঙে দেন।
সাকিবের এমন আচরণে হতাশা প্রকাশ করে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ জানান, আবাহনী-মোহামেডান খেলা মানেই উত্তেজনা। আমরা আজ মাঠে সেরকম উত্তেজনা দেখেছি। তবে আজ যা হয়েছে এমনটা আমরা অতীতে কখনো দেখিনি। একজন আন্তর্জাতিক প্লেয়ার এমনটা করবেন তা কখনো ভাবা যায় না। মাঠে আম্পায়াররা যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই ফাইনাল; কিন্তু সাকিব আজ যা করলেন, আমার বিশ্বাস ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে যারা আছেন তারা বিষয়টা দেখবেন। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে সাকিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ম্যাচের দুই আম্পায়ার ইমরান পারভেজ ও মাহফুজুর রহমান এবং ম্যাচ রেফারি মোরশেদুল আলমের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় বিসিবি।
তারা যদি আচরণবিধির ‘লেভেল টু’ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন তাহলে সাকিবের শাস্তি দুই ম্যাচ কিংবা কমপক্ষে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা এবং আর্থিক জরিমানা।
আর যদি ‘লেভেল ফোর’ ভঙ্গের অভিযোগ আনেন, তবে মোহামেডান অধিনায়ক বড় বিপদে পড়বেন; যার শাস্তি কমপক্ষে পাঁচ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে সাকিবের আউটের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে মেজাজ হারিয়ে সাকিব নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তের স্টাম্পে লাথি মেরে ভেঙে দেন।
এরপর তুমুল বৃষ্টি নামলে আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান খেলা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। তিনি যখন মাঠকর্মীদের কাভার আনার ইশারা দিচ্ছেন, তখন সাকিব আম্পায়ারের দিকে এগিয়ে গিয়ে তিনটি স্টাম্পই তুলে উইকেটের ওপর ছুড়ে মারেন।
এমনকি বৃষ্টির সময়ে আবাহনীর ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে সাকিব কিছু বললে ক্ষেপে গিয়ে তেড়ে আসেন আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। তখন মোহামেডানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার সাকিবকে জাপটে ধরে থামান।