২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:৫৭
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:৫৭

সাজিদের ঘূর্ণিতে লন্ডভন্ড বাংলাদেশ

ফাওয়াদ আলমের হাফ সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করছিল পাকিস্তান। খালেদ আহমেদের বলে সিঙ্গেল নিয়ে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছানোর পরই পাকিস্তান দলীয় ৩০০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। রিজওয়ান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫৩ রান করে।

জবাবে খেলতে নেমে শুরুতেই অভিষিক্ত ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তিনি ৭ বল খেলে কোনো রান না করেই সাজিদ খানের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে শূন্য রানে স্লিপে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। তিনি সেই সাজিদের বলেই জায়গা করে নিয়ে খেলতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে হাসান আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। মুমিনুল হক রান আউট হয়ে ফেরেন পরের ওভারেই। এরপরই চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। শেষ সেশনে ব্যাটিং করতে নেমে সাজিদকে বাউন্ডারি হাঁকানোর পরের বলে সুইপ করতে গিয়ে ফাওয়াদ আলমের হাতে ধরা পড়েন মুশফিকুর রহিম। ৮ বলে ৫ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। তার বিদায়ে ক্রিজে আসেন লিটন দাস। এর আগে বৃষ্টির বাঁধায় ভেস্তে গিয়েছিল ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন। মাঠ খেলার অনুপযোগী থাকায় চতুর্থ দিন সকালের প্রথম ঘন্টায়ও খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে সকাল ১০:৫০ মিনিটে খেলা শুরু হলে ওভারকাস্ট কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ব্রেক থ্রু এনে দেন খালেদ আহমেদ এবং এবাদত হোসেন।

২ উইকেটে ১৮৮ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান এদিন স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ করতেই হারিয়ে বসে আজহার আলীকে। এবাদত হোসেনকে পুল করতে গিয়ে লিটনের তালুবন্দি হন আজহার। ৫৬ রানে ফেরেন তিনি। খানিক পর বাবর আজমকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন এবাদত হোসেন। তিন টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি তার প্রথম উইকেট। ৭৬ রানে আউট হন পাকিস্তানের এই অধিনায়ক।

এরপর ক্রিজে নেমে হাল ধরেন ফাওয়াদ আলম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাদের ব্যাটে ভর করেই লাঞ্চ বিরতিতে যায় পাকিস্তান। ১৯.৪ ওভার ব্যাটিং করে ২ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে আরও যোগ করেছে ৫৩ রান। ফাওয়াদ ১৯ এবং রিজওয়ান অপরাজিত আছেন ২৬ রানে। লাঞ্চের পর নেমে খানিকটা দ্রতগতিতেই রান তুলতে থাকেন দুজন। তাইজুলকে সামনে এগিয়ে ছক্কা হাঁকানোর সঙ্গে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন রিজওয়ান। খানিক পর এই স্পিনারকেই এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন লিটন দাস।

এর মাঝে অবশ্য নাজমুল হোসেন শান্তও একবার আউট হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি রিভিউ নিলে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় নউমান আলী নো বল করেছেন। তাতে জীবন পান এই ব্যাটসম্যান।

Facebook
Twitter
LinkedIn