নিউজিল্যান্ডের কঠিন কন্ডিশনে বাংলাদেশের ব্যাটারদের পরীক্ষা দিতে হয়েছে বেশিরভাগ সময়। এবারের সফরের আগেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের পারফরম্যান্সও যাচ্ছেতাই। তাই দেখার ছিল, অতীতের হতাশা ভেঙে নতুন বছরে ব্যাটাররা ঘুরে দাঁড়াতে পারেন কিনা। গত কয়েক সিরিজের সঙ্গে তুলনা টানলে মন্দ হয়নি বাংলাদেশের শুরু। ওপেনার সাদমান ইসলামকে হারিয়ে এগিয়ে চলেছে রানের চাকা।
সাদমানের বিদায়ে বাংলাদেশ হারায় প্রথম উইকেট। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে করা ৩২৮ রানের জবাবে সফরকারীদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৯১ রান। ৪০ রান নিয়ে অপরাজিত মাহমুদুল হাসান জয় ও ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার সাদমান ও জয় মিলে এগিয়ে নিচ্ছিলেন স্কোরবোর্ড। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি সাদমান। নিল ওয়াগনারকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন এই ওপেনার। তাতে ৪৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। ফেরার আগে ৫৫ বলে এক বাউন্ডারিতে ২২ রান করেন সাদমান।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণি জাদু। আর মুমিনুল হক শেষটা মুড়ে দেওয়ায় বেশিদূর যেতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের স্কোর। ৫ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা কিউইরা প্রথম ইনিংসে ১০৮.১ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ৩২৮ রানে।
অর্থাৎ, মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ৭০ রান যোগ করতে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে কিউইরা। যার মধ্যে টানা তিনটিই মিরাজের শিকার। নিউজিল্যান্ডের পেস নির্ভর উইকেটে স্পিনারদের সাফল্য পেতে সংগ্রাম করতে হয়। মিরাজকেও পরীক্ষা দিতে হয়েছে। অবশেষে সাফল্য পেয়েছেন ডানহাতি স্পিনার। তাও একটি নয়, টানা তিনটি উইকেট নিয়েছেন! তার ঘূর্ণিতে উইকেট উৎসবে মেতেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার শরিফুল। বাঁহাতি পেসার ২৬ ওভারে ৬৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। মিরাজও পেয়েছেন ৩ উইকেট, ৩২ ওভারে তার খরচ ৮৬ রান। অন্যদিকে পার্টটাইম বোলার মুমিনুলও সাফল্যের সাগরে ভেসেছেন। ৪.১ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন কনওয়ে ও নিকোলসের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট দুটি। এবাদত হোসেন পেয়েছেন ১ উইকেট।
নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান এসেছে ডেভন কনওয়ের ব্যাট থেকে। প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি পাওয়া কনওয়ে খেলেন ১২২ রানের ইনিংস। ৭৫ রান এসেছে হেনরি নিকোলসের ব্যাট থেকে। হাফসেঞ্চুরি করেছেন উইল ইয়ংও (৫২)। নিকোলস ৭৫ রান করে মুমিনুলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হলে ৩২৮ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস।