সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে ইতিহাস গড়া চ্যাম্পিয়নদের সংবর্ধনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (বুধবার) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেখা করবেন সাবিনা-সানজিদারা। তাদের দেয়া হবে অর্থ পুরস্কারও।
ঊনিশ বছর পর মেয়েদের হাত ধরে ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব আসে বাংলাদেশে। ছাদখোলা বাসে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা দেয় দেশের সাধারণ মানুষ, যা দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে ছিল অনন্য নজির। রাষ্ট্রীয় কাজে তখন দেশের বাইরে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই মেয়েদের এই অর্জনেও সংবর্ধনা দিতে পারেননি তিনি।
অবষেশে আজ সাফজয়ী ২৩ ফুটবলারকে সাক্ষাৎ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সময় কাটাবেন তাদের সঙ্গে। এ ছাড়া ফুটবলারসহ টিম ম্যানেজমেন্টকে দেবেন অর্থ পুরস্কারও।
গত ১৯শে সেপ্টেম্বর ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের শিরোপা ঘরে ছিনিয়ে আনে বাংলাদেশের মেয়েরা।
সাবিনাদের শিরোপা জয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে উৎসবের আমেজ নেমে এসেছিল। এয়ারপোর্ট থেকে ছাদখোলা বাসে করে বাফুফে ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাদের।
এর আগে সাফ জয় করে সাবিনারা দেশে ফেরার পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন, সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের সবার ঘরের অবস্থা পরিদর্শন করে তা জানাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যাদের ঘরের অবস্থা ভালো নয়, যাদের ঘর দরকার, তাদের নতুন ঘর বানিয়ে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘ অধিবেশন থেকে ফিরে ফুটবলারদের অর্থ পুরস্কারও দেবেন তিনি।
দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও ভারতকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক-আউট পর্বে কোয়ালিফাই করেছিল সাবিনা খাতুনের দল। সেমিফাইনালে ভুটানকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। ফাইনাল ম্যাচে নেপালকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে মেয়েরা।
নারীদের দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের দরুণ সুখবর দেয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাও। র্যাংকিংয়ে ১৪৭তম স্থান থেকে একলাফে ১৪০তম অবস্থানে উঠে আসে সাবিনা-সানজিদারা।