২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৯:৩৭
২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৯:৩৭

সামিউল হত্যা: মা ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড

রাজধানীর আদাবরে পরকীয়ার জেরে শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফিকে (৫) হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার মা এশা ও এশার প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর (৪৩) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় দু’জনই পলাতক ছিলেন। জামিনে থাকা এশা গত ২৩ নভেম্বরের পর আর আদালতে হাজির হননি। ওইদিনই আদালত জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আর এশার প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু (৪৩) আগে থেকেই পলাতক ছিলেন।

গত ২৩ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে একই আদালত রায়ের জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত ২০ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৩ জুন পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক কোনো ঘটনা দেখে ফেলায় সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ গুম করতে ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা হয়।

মরদেহটি বস্তায় ঢুকিয়ে পরদিন ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। একইদিন আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে সামিউলের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সামিউলের বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলায় এ পর্যন্ত ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এতে এশা ও বাক্কু উভয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn