লক্ষ্মীপুরে সিঁধ কেটে চুরির উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে (২৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে যুবলীগ নেতা সুমন মাঝিকে আটক করা হয়েছে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তাকে আটক করা হয়।
এর আগে ভোরে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ গ্রামে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী গৃহবধূকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুপুরে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ ও অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (সদর) মংনেথোয়াই মারমা হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেন।
অভিযুক্ত সুমন তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও চরমটুয়া গ্রামের মৃত মন্তাজ মাঝির ছেলে। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানের ভাই।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানায়, প্রতিবন্ধী ভাই ও ছেলেকে নিয়ে গৃহবধূ রাতে ঘরে একা ছিলেন। ঘটনার সময় সিঁধ কেটে ৫ জন ঘরে ঢুকে। একপর্যায়ে ওই পাঁচজন তাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে আহতাবস্থায় গৃহবধূকে রেখে তারা পালিয়ে যায়৷ এ সময় যুবলীগ নেতা সুমনসহ সবাইকে তিনি চিনে ফেলেন। খবর পেয়ে ভোরেই সদর থানা টহল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে। পরে প্রধান অভিযুক্তকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত নাজিম, মো. হোসেন, ইউসুফ ও হারুনকে আটক করতে অভিযান চলছে।
যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বলেন, গৃহবধূদের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ জন্য পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার ভাই ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত নয়।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে এক নারীকে হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) পলাশ কান্তি নাথ জানান, প্রধান অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অন্যদের আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
যুগান্তর থেকে নেওয়া।