১৫ ঘন্টা তান্ডব শেষে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং শক্তি হারিয়ে নিুচাপে পরিণত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার পর ভোলার কাছে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানে। মধ্যরাতে উপকূল অতিক্রম করে নিুচাপ আকারে ক্রমশ দুর্বল হয়ে সিলেট দিয়ে ভারতের আসামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে সিত্রাং।
দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে বিপদ সংকেত কমিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৫ জেলায় ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় ভোলার কাছে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং। মধ্যরাতে উপকূল অতিক্রম করে ঘুর্ণিঝড়টি। উপকূলীয় অঞ্চলে বেশকিছুক্ষণ তান্ডব চালালিয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশ দুর্বল হয়ে নিুচাপে পরিণত হয় সিত্রাং। এটি পর্যায়ক্রমে ঢাকার পাশ দিয়ে কুমিল্লা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, সিলেট হয়ে ভারতের আসামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বাতাসে ঘরবাড়ি যেমন ভেঙ্গেছে, অনেক জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে। ভারী বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে বাধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে বসতবাড়ি, প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল।
ঘুর্ণিঝড়ের কারনে দেশের ৫ জেলায় ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ের আঘাতে ভোলায় সদর, চরফ্যাশন, দৌলতখান ও লালমোহনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সিরাজগঞ্জে বৈরি আবহাওয়ায় যমুনা নদীতে নৌকা ডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও কুমিল্লা, নড়াইল ও বরগুনায় একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।