মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খানের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (শনিবার) সকাল ১০টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে তার জানাজা হয়।
পরে সিরাজুল আলম খানের মরদেহ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামের বাড়িতে নেয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে মারা যান এক সময়ের বিপুল নন্দিত ও আলোচিত-সমালোচিত রাজনীতিবিদ এবং মুক্তিযুদ্ধকালের শীর্ষস্থানীয় সংগঠক সিরাজুল আলম খান। বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বেলা আড়াইটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন জাতির পিতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একনিষ্ঠ অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা। অথচ স্বাধীনতার পর পরই বঙ্গবন্ধু মুজিবকে ছেড়ে আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, সংক্ষেপে জাসদ গঠন করেন। তবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর থেকে রাজনীতির মাঠ থেকে ক্রমেই আড়াল হন। এক পর্যায়ে আমেরিকা ও ব্রিটেনে দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটান। কয়েক দশক আগে দেশে ফিরলেও আড়ালে থেকে রহস্যময় পুরুষের খ্যাতি পান।
৮২ বছর বয়সী সিরাজুল আলম খানের মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।