অনিয়মের কারণে বন্ধ করে দেওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনের পুনর্ভোট
সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনাররা। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পঞ্চম তলায় কন্ট্রোল রুমে বুধবার সকাল ৮টা থেকে এ মনিটরিং শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
ভোটের দিন সকাল থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা ও নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণের পর সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ভোট শুরুর পর থেকে এপর্যন্ত কেন্দ্রে কোনো ডাকাত দেখা যায়নি। ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোট দিচ্ছে। তবে শীতের কারণে ভোটারের উপস্থিতি কম। এপর্যন্ত আনুমানিক ১০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। ইভিএমের ভোটগ্রহণে কোন সমস্যা হয়নি এ পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ইভিএমে ১৪৫টি কেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। সিসিটিভিতে ঢাকায় বসে ভোট মনিটর করা হচ্ছে। অনিয়ম ঠেকাতে প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ থেকে ১৮ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের ছয়টি ভ্রাম্যমাণ ও চারটি স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটের মাঠে রয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া গত ২৩ জুলাই মারা গেলে তার সংসদীয় এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ১২ অক্টোবর ভোটে অনিয়ম হলে তা বন্ধ করে দেয় ইসি। পরে গত ৬ ডিসেম্বর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের পুনঃভোটের জন্য ৪ জানুয়ারি নতুন তারিখ ঠিক করা হয়। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা পাঁচজন প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির (জাপা) এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র মো. নাহিদুজ্জামান ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।