২০০৬ থেকে ২০২২ সময়ের ব্যবধানটা অনেক। দীর্ঘ ১৬ বছর আগে শেষবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল পর্তুগাল। কাতার বিশ্বকাপে এসে সেই আক্ষেপে মোচন করল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা। শেষ ষোলোর লড়াইয়ে সুইজারল্যান্ডকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে পর্তুগিজরা। লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে সুইসদের ৬-১ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে কোয়ার্টারে উঠেছে ফার্নান্দো সান্তোসের শিষ্যরা।
ম্যাচের শুরুতেই পর্তুগালকে এগিয়ে নেন রোনালদোর পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া গনসালো রামোস। গোল পেয়ে যেন আরো উজ্জীবিত হয়ে উঠে ব্রুনো ফার্নান্দেজরা। একের পর এক আক্রমণে সুইস ডিফেন্ডারদের পরীক্ষা নিতে থাকেন পর্তুগিজরা। ম্যাচের ২১ মিনিটেই আবারও এগিয়ে যেতে পারত তারা। তবে ওতাভিউর লক্ষ্যভ্রষ্ট শট সুইজারল্যান্ড গোলরক্ষকের ফিরিয়ে দেন।
বল দখলে নিয়ে পালটা আক্রমণে যায় সাকিরির দল। ৩০ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় সুইসরা। তবে সাকিরির নেওয়া সেই শট অল্পের জন্য পর্তুগালের জালে জড়ায় নি। আক্রমণের ধার বাড়ানো সুইজারল্যান্ডের জালে উল্টো ম্যাচের ৩৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোল দিয়ে বসে পর্তুগাল। দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন ৩৯ বছর বয়সী পেপে। আর তাতেই ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সান্তোসের শিষ্যরা।
দ্বিতীয়ার্ধে যেন পুরো পাল্টে গেল পর্তুগিজদের চিত্র। প্রথমার্ধের চেয়ে আরো বেশি চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে ব্রুনো ফার্নান্দেজরা। ধারাবাহিক আক্রমণে পর্তুগালকে আবারও এগিয়ে নেন রামোস। ম্যাচের ৫১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোলের দেখা পান বেনফিকার এই ফরোয়ার্ড। রামোসের দেখানো পথে হাঁটেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের তারকা রাফ্যাল গুরেইরা। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে পর্তুগিজদের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন তিনি। ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়া সুইজারল্যান্ড ৫৮ মিনিটে আকাঞ্জির নৈপুণ্যে প্রথম গোলের দেখা পায়।
তবে পর্তুগালের দিনে একেবারেই বিবর্ণ ছিল সাকিরির দল। একটি গোল করে ম্যাচে ফেরার আভাস দিলেও উল্টো আরো দুইটি গোল হজম করে সুইসরা। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পান গনসালো রামোস। ৫-১ গোলে এগিয়ে থেকে ম্যাচ শেষ করার পথে এগিয়ে যাওয়া পর্তুগাল ৯০ মিনিটে আরো একটি গোলের দেখা পায়। ফলে ৬-১ গোলের বড় জয়ে কোয়ার্টারের টিকিট নিশ্চিত করে সান্তোসের দল।
উড়ন্ত মরক্কোর বিপক্ষে শেষ চারে উঠার লড়াইয়ে মাঠে নামবে পর্তুগাল।