মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরো:
সুপার সাইক্লোন ‘মোখা’ মোকাবেলায় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় প্রাথমিক ভাবে ৬২ টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়ার পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে নিরাপত্তায় পুলিশ বাহিনী ও চিকিৎসা সেবায় ৩৮টি মেডিকেল টিম|
এছাড়া স্কাউট,রেড ক্রিসেন্টের সমন্বয়ে ১৬০ জন তরুণ তরুণীর স্বেচ্ছাসেবকের টিম তৈরি করা হয়েছে।জেলার সব উপজেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।এসব তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
আরও জানানো হয়,স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে যেগুলো ঝালকাঠি সদরসহ তিনটি উপজেলার যে কোন প্রান্তে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করবে।
আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের জন্য শুকনা খাবারসহ ২ লাখ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট,৫০০ পিস স্যানিটারি ন্যাপকিন, ৩০০ পিস বালতি,৩০পিস অস্থায়ী ল্যাট্রিন,২৫ পিস ছোট বড় পানির ট্যাংক সরবরাহ করা হবে।
জেলার বিষখালি নদীর তীরে অবস্থিত রাজাপুর ও কাঠালিয়া ইউনিয়নের বড়ইয়া,মঠবাড়ি,আমুয়া,শৈলোঝালিয়া ইউনিয়ন সমূহে স্থায়ী বেড়িবাধ না থাকায় ঘূর্ণিঝড়ে পানিতে প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ মে) সকালে কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে ফাঁকা দেখা গেছে।সাধারণ মানুষজন এখনো সেখানে আসেনি। সুপার সাইক্লোন মোখা নিয়ে তাদের মাঝে এখন পর্যন্ত কোন উদ্বেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না|
আশরাফুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান,আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ঘুর্নিঝড় স্থলভাগে আসতে এখানো দুই/তিন দিন সময় লাগবে তাই হয়তো এখনো কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি।যদি পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায় তাহলে নিম্ন আয়ের মানুষজন আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে চলে আসবে।
মগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আশ্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাহনাজ আক্তার জানান,ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময়ে এখানে কিছু মানুষ আশ্রয় নেয়।এরপর আর কোন ঝড়ের পূর্বে আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষজন আসেনি।মানুষজন তাদের গৃহপালিত পশুপাখি রেখে আসতে চায় না।তবে আমাদের আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে তারা চাইলে যে কোন সময় এখানে চলে আসতে পারবে|