সৌদি আরবের যুবরাজ এবং দেশটির ডি ফ্যাক্টো শাসক মোহাম্মদ বিন সালমানকে ফোন করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার দুই নেতার এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, যুবরাজ পুতিনকে বলেছেন, বিদ্যমান সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের উদ্যোগের প্রতি তার দেশের সমর্থন রয়েছে। একইসঙ্গে সব পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিতেও রিয়াদ প্রস্তুত রয়েছে।
ইউক্রেন সংঘাতকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দুনিয়াজুড়ে জ্বালানি উদ্বেগ নিয়েও কথা বলেন মোহাম্মদ বিন সালমান। একইসঙ্গে তিনি ওপেক প্লাস চুক্তির প্রতি তার দেশের অঙ্গীকারের বিষয়টি ফের নিশ্চিত করেছেন।
রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুতিন সৌদি যুবরাজকে বলেছেন, ওপেক প্লাস সদস্য দেশগুলো ধারাবাহিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। বিশ্ব তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এই জোট অবদান রাখছে। রাশিয়া এবং সৌদি আরব এই বিন্যাসের মধ্যে তাদের পদ্ধতির সমন্বয় অব্যাহত রাখবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ কর্তৃক আরোপিত রুশবিরোধী নিষেধাজ্ঞাগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহের সমস্যাগুলোর রাজনীতিকরণের সমালোচনা করেছেন। তিনি এ ধরনের প্রচেষ্টাকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ জন্য ‘ডনবাসকে রক্ষার যুক্তি’ তুলে ধরেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
এদিকে বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, ইউক্রেনে তার দেশের ‘বিশেষ সামরিক অভিযান পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে’।