Search
২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৭:৫৯

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় চারজনের ফাঁসি

নারায়ণগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় চার আসামিকে ফাঁসির আদেশ ও এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলো- কামরুল হাসান, রবিউল, আলী আকবর ও শুক্কুর আলী। চার আসামিকে সহায়তাকারী হিসেবে ডলি বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই মামলায় নাসরিন আক্তার নামে আরেক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় পলাতক ছিল রবিউল ও ডলি বেগম। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলো।

জানা যায়, ২০০৫ সালের ৩ জুন সকালে ফতুল্লার মুসলিম নগরের কেএম স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আফসানা আক্তার নিপাকে বক্তাবলী লক্ষ্মীনগর এলাকায় একটি ক্ষেতে নিতে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ১১ বছর।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইদুল হাসান সুমন গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার দিন কামরুল, রবিউল, শুক্কুর আলী তিনজন মিলে ধর্ষণ করেন। এ সময় আলী আকবর ছিলেন বক্তাবলীর ওই দিকের ট্রলার চালক। কান্নার আওয়াজ পেয়ে ছুটে যান আলী আকবর। গিয়ে দেখেন ৩ জন মেয়েটিকে ধর্ষণ করছেন। এ সময় পুলিশকে বলে দেবেন জানালে আলী আকবরকে হত্যার এবং তার স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে তাকে দিয়ে পাহারা দিতে বলেন বাকি ৩ জন। পরে ধর্ষণ শেষে আলী আকবরকেও ধর্ষণ করতে বলা হলে তিনি দেখেন মেয়েটির অবস্থা গুরুতর। পরে তিনি আর ধর্ষণ করেনি।

আইনজীবী জানান, পরে মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর প্রথমে ডলি আক্তারের বাসায় ও পরে নাসরিনের বাসায় নেওয়া হয়। দুজনে মিলে লাশটি আবার ক্ষেতে নিয়ে ফেলে আসেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আক্তার হোসেন ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করেছেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn