স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এলো ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট। জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ৫৩তম বাজেটের মূল স্লোগানই হলো ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটের আকার চূড়ান্ত করা হচ্ছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। টাকার অঙ্কে বাড়ছে ৩৫ হাজার ১১৫ কোটি টাকা।
এর ফলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এ ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে নেওয়া হবে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর বাইরে সঞ্চয়পত্র থেকে বিক্রি করা ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকার। অবশিষ্ট অর্থ নেওয়া হবে অন্যান্য উৎস থেকে।
বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত হয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। জাতীয় বাজেটে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। তবে ক্রমেই বেড়ে চলা মূল্যস্ফীতি সত্ত্বেও করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত (সাড়ে ৩ লাখ টাকা ) রাখা হয়েছে। একই সাথে ন্যূনতম কর ধরা হয়েছে ৩ হাজার টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশ-বিনির্মাণে নীতি ও কর সহায়তা প্রদান, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রস্তুতি, রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, সম্পদের পুনর্বণ্টন ও বৈষম্য হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, দেশীয় শিল্পের সংরক্ষণ ও বিকাশ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণে নীতি ও কর সহায়তা প্রদান এর লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
একই সাথে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার উদ্দেশ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী করদাতা, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব করনীতি প্রণয়নের মাধ্যমে রাজস্ব আয়ে প্রত্যক্ষ করের অবদান ২০৩১ সালের মধ্যে ৪২ শতাংশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে উন্নীতকরণে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অভ্যন্তরীণ উৎস হতে রাজস্ব আহরণ ও বৃদ্ধির লক্ষ্যকে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, করনেট সম্প্রসারণ ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবারে বাজেটে।