শোবিজের ঝলমলে জগতকে ২০২০ সালেই বিদায় জানিয়েছিলেন সানা খান। বর্তমানে ধর্মকর্ম নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। গত বছর স্বামীকে নিয়ে হজ পালন করেন বলিউড অভিনেত্রী।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার স্বামীর সঙ্গে ওমরাহ পালন করলেন সানা খান। যদিও এবারের পালন করা ওমরাহকে বিশেষ বলেই অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে স্বামী আনাস সাইয়াদের সঙ্গে কিছু ছবি আপলোড করেন সানা খান। সেখানে তিনি বলেন, “এ ওমরাহ কিছু কারণে খুবই বিশেষ, যা ইনশাআল্লাহ আমি শিগগির সবার সঙ্গে ভাগ করে নেব।”
সানা খানের এ পোস্টের পরই তার সন্তানসম্ভবা হওয়ার গুঞ্জন চাউর হয়। অনেকের ধারণা, এ দম্পতি শিগগিরই সন্তান নিতে যাচ্ছেন বলে হয়ত তারা আল্লাহর অনুগ্রহ চাচ্ছেন। যদিও সানা খান এ ব্যাপারে কোনো কিছু নিশ্চিত করেননি।
সানা খানের পোস্টে এক ব্যবহারকারী বলেন, “তোমরা বাবা-মা হচ্ছো?” আরেক ব্যবহারকারী বলেন, “তুমি মা হচ্ছো? তাই এই ওমরাহটা এত বিশেষ?” অপর এক ব্যবহারকারী বলেন, “মনে হচ্ছে শিগগিরই কোল আলো করে একজন আসছে, অনেক অনেক শুভেচ্ছা।”
২০০৭ সালে “ধান ধানা ধান গোল” সিনেমার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন সানা খান। ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল না হলেও ওই সিনেমার একটি গানে প্রচুর জনপ্রিয়তা পান তিনি। সানা খান তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালায়ালাম ভাষার একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। ২০১২ সালে রিয়ালিটি শো “বিগ বস”-এ অংশগ্রহণ করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যান। সালমান খানের “জয় হো”, “ওয়াজা তুম হো”, “স্পেশাল অপস” ছবিতেও কাজ করেছেন সানা।
“বিগ বস” খ্যাত বলিউড অভিনেত্রী সানা খান ২০২০ সালে হঠাৎ করেই ১৫ বছরের ক্যারিয়ার ছেড়ে ধর্মের পথ বেছে নেওয়ার ঘোষণা দেন। তারপর মাসখানেকের মধ্যে বিয়ে করেন তিনি। বিনোদনের দুনিয়া ছেড়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে সানা পরবর্তীতে বলেছিলেন, অতীত জীবনে তার কাছে খ্যাতি, নাম, অর্থ সব ছিল। কোনো কিছুর কমতি ছিল না। তিনি যা চেয়েছেন সবকিছুই করতে পেরেছেন। তার মতে এতকিছু থাকার পরেও একটি জিনিসের অনুপস্থিতি বোধ করছিলেন তিনি। সেটা হলো শান্তি। কোনোকিছুতেই তিনি তখন শান্তি পাচ্ছিলেন না।
এই অভিনেত্রী আরও জানান, ২০১৯ সালের রমজান মাসে তিনি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থতার কারণে তখন তিনি বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন।
সানা সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি স্বপ্নে নিজেকে কবরে জ্বলতে দেখতাম। এই স্বপ্ন আমার কাছে মনে হয়েছিল কোনো বিশেষ বার্তা।” তারপরই সব ছেড়ে ধর্মের পথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সানা।
সানার কথায়, “আমার বাড়িতে একাধিক স্কার্ফ ছিল; ওই দিনের পর যে আমি হিজাব পরলাম প্রতিজ্ঞা করলাম আর কখনও তা ছাড়ব না।”