এ বছর ৩১ শে মে হজ ফ্লাইট শুরু করতে চায় মন্ত্রণালয়। হজে যেতে হাজিদের ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুর আলী। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে হজ সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
তবে এত অল্প সময়ে সব প্রস্তুতি শেষ করে যাত্রা শুরু সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে হাব। আর ভাড়া এক লাখ ১০ হাজার টাকা করা দাবি তাদের। পাশাপাশি হজযাত্রায় ডেডিকেটেড ফ্লাইটও চেয়েছে তারা।
এবারের হজযাত্রা নিয়ে সচিবালয়ে ধর্ম ও বিমান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসে হজ এজেন্সিস অব অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) ও অ্যাসোসিয়শ অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।
বৈঠকে হজ ফ্লাইট ৩১ মে শুরু করার কথা জানায় বিমান মন্ত্রণালয়। তবে সব প্রস্তুতি শেষ করে ওই তারিখে ফ্লাইট শুরু সম্ভব মনে করে না হাব।
এছাড়াও হজযাত্রীদের জন্য বিমান ভাড়া এক লাখ ১০ হাজার টাকা করার দাবি হাবের। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব ছিল এক লাখ ২৫ হাজার। তবে গতবারের চেয়ে ১২ হাজার টাকা বাড়িয়ে এবারের ভাড়া এক লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে বিমান মন্ত্রণালয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, হজ প্রতিপালন আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ। হজ প্রতিপালনে ব্যতিক্রম ঘটলে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। এ বছর হজ যাত্রীরা যেন নিরাপদে যেতে পারে, ফ্লাইট সিডিউলসহ কোনো ধরনের ঝুঁকি ঝামেলা যাতে না হয় সেজন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়, হাব, আটাবসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, করোনার কারণে ২০১৯ সালের পরে আর হজ হয় নাই। এ বছর আশার আলো আমরা দেখতে পারছি। তাই অত্যন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের এ কাজগুলো করতে হবে। আমরা ৯ মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নেই। কিন্তু এ বছর মাত্র এক মাস সময় পাচ্ছি। আগামী ৩১ মে থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু হতে পারে আমরা সে রকম ধারণা করছি। এ সময়ের ভেতরে যাতে আলোচনা করে সব কাজ করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।
এ বছর সৌদি আরবে হজ করতে যেতে পারবেন ৫৭ হাজার মুসুল্লি। এর মধ্যে বিমানের ৭৫টি ডেডিকেটেড ফ্লাইটে যাবেন ৩১ হাজার। তবে হাব বলছে, ডেডিকেটেড ফ্লাইট ছাড়া তারা হজে পাঠাবে না।