২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৭:৩৩
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৭:৩৩

হাজী মোহাম্মদ মোহসীনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

শিক্ষাব্রতী সমাজসেবক হাজী মোহাম্মদ মোহসীনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৮১২ খৃষ্টাব্দের ২৯শে নভেম্বর তিনি পরলোক গমন করেন। ১৭৩২ সালে ভারতের পশ্চিম বাংলার হুগলীতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলীম ধনী পরিবারে মহসীনের জন্ম হয়। তার পিতার নাম হাজী ফাইজুল্লাহ এবং মাতার নাম জয়নাব খানম।

জয়নব খানমের দ্বিতীয় পরিবারের সন্তান তিনি। জয়নাব খানমের প্রথম স্বামী আগা মোতাহার বিশাল ধন সম্পত্তির মালিক ছিলেন পরে যার মালিক হন তার একমাত্র কন্যা মন্নুজান খানম। মন্নুজান ও মোহসীন পারিবারিকভাবে ক্বোরআন, হাদিস সম্পর্কে বিষদ জ্ঞান লাভ করেন। পরে উচ্চ শিক্ষার জন্য মোহসীন মুর্শিদাবাদ গমন করেন।

মোহসীনের পিতার মৃত্যুর পর তিনি ও তার সৎবোন মন্নুজান যতেœ বড় হন। ১৭৬৭ সালে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন। তিনি এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন ইরান, ইরাক, তুর্কি ভ্রমন করেন। তিনি মক্কা, মদিনা, কারবালার প্রান্তর ও কুফাসহ অনেক পবিত্র নগরী ভ্রমন করেন। হজ¦ পালন করার পরে তিনি হাজী মোহাম্মদ মোহসীন নামে পরিচিতি লাভ করেন।

ভ্রমন শেষে হাজী মহসীন দেশে ফিরে আসেন। ১৮০৩ সালে সৎ বোন মন্নুজান পরলোক গমন করেন। রয়ে যায় স্থাবর অস্থাবর মিলিয়ে অগণিত সম্পত্তির হিসাব যার মালিক হন মহসীন।

এরপর সংসার ধর্মে চির উদাসীন মহসীন আরো বৈরাগী হয়ে যান। এই সময় মুলত দান করেই তিনি সময় কাটাতেন। তার মৃত সৎ বোন মন্নুজানের বিশাল সম্পত্তি জনগনের সেবার জন্য উইল করে দেন। তাঁর দানের টাকায় বহু পরিবার চলত। তার আর্থিক সহয়তায় ইমামবারা, মহসীন কলেজ তৈরি হয়। এখনও হুগলিতে মহসীন ফান্ড আছে। সেখান থেকে ছাত্রছাত্রীরা সাহায্য পেয়ে থাকনে।

হাজি মুহাম্মদ মহসীন বাংলার একজন দানবীর মানুষ হিসাবে খ্যাত। তিনি মানুষের কল্যাণে বহু কাজ করেছেন। এখনও মহসীনের নামে বহু শিক্ষালয় আছে। খুলনার হাজী মহসীন কলেজও ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজি মুহাম্মাদ মহসীনের নামে ছাত্রাবাস আছে। ৮১২ খৃষ্টাব্দের ২৯শে নভেম্বর তিনি পরলোক গমন করেন। দানবীর হাজী মোহাম্মদ মোহসীনের মৃত্যুদিবসে আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।

Facebook
Twitter
LinkedIn