২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:৫২
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:৫২

হাটে গরুর সংকট, গরু নিয়ে টানাটানি

পুরো একদিন এক রাত বাকি পবিত্র কোরবানির। এর আগেই গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কোরবানির পশুর হাট প্রায় গরু শূন্য। ক্রেতদের তীব্র চাপ থাকলেও হাটগুলোতে গরুর সংখ্যা ছিল খুবই কম। যে কয়েকটি গরু ছিল তা নিয়ে রীতিমতো ক্রেতাদের মাঝে ছিল কাড়াকাড়ি। দাম কোনো ব্যাপার ছিল না গরু পাওয়াটাই ছিল সৌভাগ্যের ব্যাপার। তাই কে গরুর রশি ধরতে পারেন তাই নিয়ে ছিল প্রতিযোগিতা। রাজধানীর আফতাবনগর, মেরাদিয়া, খিলগাঁও রেলগেট, জুরাইন ও গাবতলীসহ বেশ কয়েকটি পশুর হাটে এই চিত্র দেখা গেছে।

তবে এর আগে গতকাল সারা দিন হাটগুলোতে ছিল ভিন্ন চিত্র। অনেক ব্যাপারি মহামারি করোনার কারনে বিক্রি নাও হতে পারে এই আতঙ্কে কম দামে গরু ছেড়ে দিয়েছেন। এমনই একজন হলেন মো. কালাম হোসেন। তিনি ১২টি গরু নিয়ে এসেছেন গাবতলীর হাটে। জানালেন সব ব্যাপারি ও খামারির চেহারায় গরু বিক্রি না হওয়ার চাপা আতঙ্ক। আমিও ভয় পেয়ে গেলাম। মহামারি করোনার কারণে যদি বিক্রি না হয় তা হলে ফেরত নিতে আবার টাকা লাগবে। এতগুলো গরুকে খাওয়াতেও অনেক খরচ। তাই কোনোটিতে সামান্য লাভ কোনোটিতে লাভ না কসে লসে ছেড়ে দিয়েছি।

হাট থেকে গতকাল দুপুরের পরে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট জাহিদ হোসেন গরু কিনেছেন। বললেন, গত বছরের তুলনায় দাম একটু কম। তবে ব্যাপারি খুশিমুখে বিক্রি করেছেন। রাজধানীর অপর হাট আফতাব নগর থেকে গতকাল দুপুরে গরু কিনেছেন মো. মাকসুদুর রহমান গাজী ও মো. মোনির হোসেন। তারা জানালেন, ‘আগে আগে গরু কিনলাম। কোনো ঝুঁকি নিলাম না। চাঁদের রাতে অনেক সময় দাম পড়ে যায়। ব্যাপারিদের দুঃখ বেড়ে যায়। এটা ভালো লাগে না। আবার গরুর টান পড়ে গেলে আরেক যন্ত্রণা। তারা বললেন, যে গরু ৭৩ হাজার টাকায় কিনেছি সেই মানের গরু দেখলাম কেউ ৮৫ কেউ ৬৫ হাজার টাকায় কিনেছেন। এবার হাটে দামের কোনো আগামাথা নেই।’

Facebook
Twitter
LinkedIn