Search
২৬শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৭শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি / ভোর ৫:১৮

হাসপাতালে সিট নেই, রাজশাহী-খুলনায় হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা

দেশের পশ্চিমাঞ্চলের ভারত সীমান্তঘেঁষা কয়েকটি জেলায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গতকাল খুলনা বিভাগে একদিনেই মারা গেছেন ৩২ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন ১৩ জন। হাসপাতালগুলোতে সংকুলান হচ্ছে না করোনা রোগীর। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। অনেক করোনা রোগীকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। রোগী বাড়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ড বাড়ানোর কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬২ জন। তাদের মধ্যে রাজশাহীর ৪৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নয়, নাটোরের তিন, নওগাঁর তিন আর পাবনা ও জয়পুরহাটের একজন করে রয়েছেন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩৪ জন। সোমবার সকাল পর্যন্ত ৩০৯ বেডের বিপরীতে রোগী আছেন ৪০২ জন। তাদের মধ্যে রাজশাহীর ২৬৪ জন আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৭০ জন রয়েছেন।

শামীম ইয়াজদানী বলেন, হাসপাতালে আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে যেসব রোগী আসছেন তাদের সবাইকে ভর্তি করা হচ্ছে না। যাদের অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে শুধু তাদের ভর্তি করা হচ্ছে। অন্যদের চিকিৎসাপত্র দিয়ে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। তারা বাড়ি থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরপরও হাসপাতালে সব রোগীকে বেড দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থতি সামাল দিতে হাসপাতালের আরও একটি সাধারণ ওয়ার্ডকে করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে রূপান্তর করার কাজ চলছে।

এদিকে একই অবস্থা বিরাজ করছে খুলনা কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে। হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চাপের ফলে এখন রোগীদের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে খুলনায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. সুহাস চন্দ্র হালদার গতকাল  বলেছেন, চিকিৎসার সব সরঞ্জাম থাকলেও রোগীর চাপ বেশি থাকায় তাদের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে, প্রতিনিয়ত তাদের সতর্ক থাকতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত সিট দিতে পারছি না। ৩০ জনকে ফ্লোরে রেখেছি। এটা একটা বিশেষায়িত চিকিৎসা, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানেলা, ভেন্টিলেশন দরকার হতে পারে। কিন্তু রোগীর এত চাপ, যে কারণে আমরা ফিরিয়ে দিতে পারছি না।
ওদিকে ঝিনাইদহে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া জেলায় মারা গেছেন আরও চারজন। আজ জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম  এ তথ্য জানান।  

Facebook
Twitter
LinkedIn