২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১:২৩
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১:২৩

হেঁটে হজে যাওয়া মহিউদ্দিন আর নেই

হেঁটে হজ করা দিনাজপুরের একমাত্র হাজি মোহাম্মদ মহি উদ্দিন আর নেই। রোববার (১০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ইন্তেকাল করেছেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১১৫ বছর।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে হাজি মহি উদ্দিন রোববার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে দিনাজপুর সদর উপজেলার ৯ নম্বর আস্করপুর ইউনিয়নের খসরুর মোড়ে তৃতীয় মেয়ের বাসায় ইন্তেকাল করেন। দুই ছেলে ও চার মেয়ে রেখে গেছেন তিনি।

সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুর দুইটায় রামসাগর জামে মসজিদে জানাজার নামাজ শেষে নিজ বাড়ি দীঘিপাড়ায় দাফন সম্পন্ন করা হবে তাকে।

হাজি মহি উদ্দিন ১৯০৬ সালে ১০ আগস্ট দিনাজপুর সদর উপজেলার ৯ নম্বর আস্কপুর ইউনিয়নের রামসাগর দিঘিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মরহুম ইজার উদ্দিন।

উল্লেখ্য, মোহাম্মদ মহি উদ্দিন ১৯৬৮ সালে হজ করেছিলেন। সেই সময় তার কাছে হজ করার মতো আর্থিক সার্মথ্য ছিল না। অদম্য ইচ্ছা নিয়ে আর এলাকাবাসীর সহায়তায় হেঁটেই করতে যান তিনি। তার হজ যাত্রায় সময় লেগেছিল ১৮ মাস। কখনো হেঁটে, কখনোবা জাহাজে, আবার কখনো স্থানীয় যানবাহনে চড়ে ৩০টি দেশ ঘুরে তিনি পৌঁছান প্রিয় নবিজির পবিত্র ভূমি মক্কা-মদীনায়।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি শুনিয়েছিলেন তার সেই হজে যাওয়ার ভ্রমণ কাহিনী। তিনি বলেন, ‘বাসা থেকে প্রথমে ঢাকায় যাই, তারপর পতেঙ্গা পৌঁছাই। পতেঙ্গা থেকে জাহাজে সিংহল (শ্রীলংকা) হয়ে পাকিস্তান যাই। এরপর একে একে আফগানিস্তান, ইরান, কুয়েত, ইরাক, জর্দান, মিশরসহ মোট ৩০ দেশ ঘুরে সৌদি আরব পৌঁছাই। সেখানে মক্কা হয়ে সর্বশেষে দেখা পেলাম মদিনার। মদিনায় পৌঁছে তিনমাস খাদেমের পদধূলি নিয়েছি। খাদেমের নাম ছিলো ইসমাইল।

তিনি আরও বলেন, সবাই বিমানে না যেয়ে হেঁটে হজ করলে বহু দেশ দেখতে পারবেন। ইরাক, ইরানে চলে গাঁধার হাল। এই হালিদের সঙ্গে গল্পগুজব করতে পারবেন। তাদের পদধূলী নিতে পারবেন। এতে আশা করি বহু নেকি পাওয়া যাবে। ধান চাষ করলে যেমন ধান পাওয়া যায়, বিষয়টি ঠিক তেমনি। জমি না চাষ করলে যেমন ধান পাওয়া যাবে না, ঠিক তেমনই হজ চাষ না করলে নেকি পাওয়া সম্ভব না।

Facebook
Twitter
LinkedIn