আগামী ১ অক্টোবর থেকে দেশের ৮৯১ কেন্দ্র থেকে ১৮ টাকা কেজিতে খোলা আটা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া রাজধানীর একটি কেন্দ্র থেকে ২০ টাকা কেজিতে প্যাকেটজাত আটা বিক্রি করা হবে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন।
এ সময় তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্যের চেয়ে বেশি দামে গম কেনার অভিযোগ করে টিআইবি যে বিবৃতি দিয়েছে সেটি পুরোপুরি মিথ্যা।
গতকাল রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দেয়া টিআইবির বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে খাদ্যসচিব বলেন, গম কেনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের দুর্নীতি হয়নি। সব ধরনের নিয়ম মেনে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় রাশিয়া থেকে গম কেনা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে চালের মূল্য নিয়ে খাদ্য সচিব জানান, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে দেশে মিলার পর্যায়ে চালের ক্রয় বা বিক্রয় মূল্য উল্লেখ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, খুচরা, পাইকারি ও মিলার পর্যায়ে চালের দামের সঠিক তথ্য তুলে ধরতেই ওয়েবসাইটে প্রতিদিনের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য উল্লেখ করতে হবে।
এর আগে টিআইবি এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, গণখাতে ক্রয় আইন লঙ্ঘন করে রাশিয়া থেকে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) পাঁচ লাখ টন গম কেনায় তৃতীয় একটি পক্ষকে যুক্ত করা হয়েছে। বিশ্ববাজারে পড়তির দিকে থাকলেও ওই পক্ষের মাধ্যমে এই গম কেনা হচ্ছে বেশি দামে। গণখাতে ক্রয় আইন অনুযায়ী, সরকারি পর্যায়ে ক্রয়প্রক্রিয়ায় বেসরকারি তৃতীয় কোনো পক্ষ থাকবে না। কিন্তু রাশিয়ার গম ক্রয়সংক্রান্ত পুরো প্রক্রিয়ায় তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ন্যাশনাল ইলেকট্রিক নামের একটি কোম্পানির চেয়ারম্যান সাত্তার মিঞা ও তার ভাই ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিরুজ্জামান যুক্ত আছেন।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি পর্যায়ে ক্রয়প্রক্রিয়ায় বেসরকারি তৃতীয় কোনো পক্ষের সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। এরপরও গম আমদানিতে ‘ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক বিডি’ নামের প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততার যে সুযোগ তৈরি করা হয়েছে, তা বেআইনি।