২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৮:৩৯
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৮:৩৯

২০২২ সালে মহামারি নিয়ন্ত্রণে আসবে: আশা ডব্লিউএইচও প্রধানের

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশগুলো যদি সত্যিই আন্তরিক হয়, সেক্ষেত্রে ২০২২ সালের মধ্যেই মহামারিকে পরাজিত করা সম্ভব হবে। ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছাবার্তায় এই আশাবাদ জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।

তবে মহামারিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে অবশ্যই দেশগুলোকে ‘সঙ্কীর্ণ জাতীয়তাবাদ’ ও ‘টিকা মজুত’ করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রায় দুই বছর আগে করোনাভাইরাস শাক্ত হয়েছিল। অর্থাৎ শনাক্ত হওয়ার দুই বছর পর করোনার বিদায় নিয়ে কথা বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। তিনি যখন করোনার পরাজিত হওয়ার কথা বলছেন তখন বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৯ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন প্রায় ৫৫ লাখ মানুষ।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে ইংরেজি নতুন বর্ষবরণ উৎসব উদযাপণ হচ্ছে অনেকটাই নীরবে। অধিকাংশ দেশ নববর্ষ উদযাপনকে ঘিরে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

গত দুই বছর ধরে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন সময়ে সীমান্ত বন্ধ রেখেছে দেশগুলো, মানুষ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং মাস্ক ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া এখন চিন্তাও করা যায়না।

এই বৈরী বাস্তবতা সত্ত্বেও মহামারিকে দ্রুত নির্মূলে আশাবাদী ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক। কারণ তার মতে, এখন এই মহামারির সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক হাতিয়ার মানুষের কাছে রয়েছে।

মহামারিকে বিদায় জানানোর জন্য সবার আগে প্রয়োজন বিশ্বজুড়ে টিকা বণ্টনে সমতা- উল্লেখ করে শুভেচ্ছাবার্তায় গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘মহামারির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে থাকা সবচেয় কার্যকর হাতিয়ার হলো করোনা টিকা; কিন্তু সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ ও টিকা মজুত করার প্রবণতার কারণে বিশ্বজুড়ে করোনা টিকা বণ্টনে অসমতা সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি দিনকে দিন বাড়ছে।’

‘টিকা বণ্টনের অসমতাই ওমিক্রনসহ নিত্যনতুন ভাইরাসের আগমনের পরিবেশ তৈরি করেছে এবং এই অসমতা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, সেক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে মহামারি যে রূপ নেবে- তা আমাদের পক্ষে কল্পনা করাও কঠিন।’

‘আমরা যদি অসমতা দূর করতে পারি, কেবলমাত্র তাহলেই মহামারির অবসান ঘটানো সম্ভব।’

নতুন বছরের শুভেচ্ছাবার্তায় বিশ্ববাসীকে ডব্লিউএইচও’র প্রধান নির্বাহী আরও জানান, ২০২২ সালে নতুন লক্ষ্য স্থির করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা; আর সেটি হলো- এ বছরের জুলাই মাস শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বের সব দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনা।

Facebook
Twitter
LinkedIn