দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আশঙ্কাজনক হারে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে করোনা মহামারি মোকাবিলায় ২১ কোটি করোনার টিকা দেশে আসছে বলে সুখবর দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। টিকা সংকটে এক সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া টিকাদান কর্মসূচি পূণরায় চালু হওয়ার পর ১৬ কোটি মানুষের জন্য এটি সুসংবাদ।
সোমবার (২৬ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে জাহিদ মালেক এই সুখবর দেন।তিনি বলেন, বিভিন্ন সোর্স থেকে করোনার টিকা আনার প্রচেষ্টা চলছে, এরই মধ্যে টিকা আসছেও। টিকার অভাব হবে না।
এর আগে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, দেশে টিকার সমস্যা আল্লাহর রহমতে কেটে গেছে। আগামী আগস্ট মাসে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ফাইজার-বায়োএনটেকের আরও ৬০ লাখ ডোজ টিকা আসছে। সব মিলিয়ে আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে দেড় থেকে পৌনে ২ কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশের হাতে আসবে; যার মধ্যে মডার্না এবং সিনোফার্মের টিকা এরই মধ্যে দুদফায় দেশে চলেও এসেছে।
আর এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ২১ কোটি টিকার ব্যবস্থা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, এর মধ্যে রাশিয়ার ১ কোটি ডোজ স্পুটনিক ভি, চীনের সিনোফার্মের ৩ কোটি ডোজ, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি, কোভ্যাক্সের আওতায় ৭ কোটি ও জনসন অ্যান্ড জনসনের ৭ কোটি ডোজ টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ২৬ বা ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে আরও ৩০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা দেশে আসবে। টিকা সংরক্ষণে ২৬টি কোল্ড ফ্রিজার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আনা হয়েছে। এগুলোয় মাইনাস ৭০ ডিগ্রিতে রাখার মতো টিকাও সংরক্ষণ করা যাবে। বিভিন্ন দেশ থেকে নতুন করে আরও যে টিকা আসবে, সেগুলো সংরক্ষণ করতে কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।দেশে ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান শুরু হওয়ার পর থেকে ১৩৫ দিন টিকা দেওয়া হয়েছে। চার ধরনের টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে এ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ১৮ লাখের বেশি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মানুষ দৈনিক গড়ে ৮৭ হাজার ডোজ টিকা পেয়েছেন। রোববার সারা দেশে দুই লাখের বেশি মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ১৯৪ জনকে।