দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) গত ৯ দিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ও সংক্রমণের রেকর্ড দেখেছে দেশ। সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ। তারপরও সংক্রমণ ও মৃত্যু কমছে না। গত টানা ৯ দিন ধরে দেশে প্রতিদিন শতাধিক মানুষ করোনার সংক্রমণে মারা যাচ্ছেন। এই সময় শনাক্তের হারও রয়েছে ২০ শতাংশের ওপরে।স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, ২৭ জুন থেকে টানা ৯দিন ধরে শনাক্তের হার ২০ শতাংশের বেশি এবং মৃত্যু ১০০-এর ওপরে রয়েছে। ২৭ জুন ৫ হাজার ২৬৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ওইদিন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ১১৯ জন। ২৮ জুন নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ২৩ দশমিক ৮৫ শতাংশের শরীরের নমুনা শনাক্ত হয়। এদিন সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৩৬৪ জন। আর মারা যায় ১০৪ জন। ২৯ জুন নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৩ শতাংশের ঘরেই থাকে। ওইদিন ৭ হাজার ৬৬৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। আর মৃত্যুবরণ করেন ১১২ জন।
৩০ জুন নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ২৫ শতাংশে। এদিনও ৮ হাজার ৮২২ জনের করোনা শনাক্ত হয় এবং মারা যান ১১৫ জন। এছাড়া ১ জুলাই ৮ হাজার ৩০১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। আর মৃত্যু হয় এ পর্যন্ত রেকর্ড ১৪৩ জনের। এদিন নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের ঘরেই ছিল। কিন্তু ২ জুলাই সেটা ২৮ শতাংশের ঘরে গিয়ে দাঁড়ায়। সেদিন ৮ হাজার ৪৮৩ জনের নমুনায় সংক্রমণ শনাক্ত হয় আর মৃত্যুবরণ করেন ১৩২ জন। গত ৩ জুলাই করোনায় আক্রান্ত ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ২১৪ জনের শরীরে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় এদিন শনাক্তের কিছুটা কমে ২৭ শতাংশে অবস্থান করছে। গত ৪ জুলাই প্রথম একদিনে মৃত্যু দেড়শ পেরিয়ে যায়। এদিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৫৩। একই সময়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৬৬১ জন। সর্বশেষ ৫ জুলাই দেশের ইতিহাসে একদিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত ও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যায় নতুন রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৬৪ জন, সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৯৬৪ জনের শরীরে।