২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:৫৭
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:৫৭

৩ দিনে শ্রীলঙ্কার লাগবে ৪১৯ রান

ম্যাচের কেবল দুদিন পেরিয়েছে, তাতেই যেন জয়ের পাল্লা বেশ খানিকটা হেলে পড়েছে ভারতের দিকে। পুরো সফরে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগতে থাকা শ্রীলঙ্কা বেঙ্গালুরু টেস্টের শেষ তিনদিনে চিত্র বদলাতে না পারলে ফলাফল বদলের সম্ভাবনাটাও বেশ ক্ষীণ। সেই ক্ষীণ সম্ভাবনা আরও খানিকটা প্রবল হয়েছে শেষ বিকেলে লাহিরু থিরিমান্নের বিদায়ে। স্পিনারদের দাপটে ভারতকে ৩০৩ রানে আটকে দেয়া শ্রীলঙ্কার সামনে ৪৪৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য। ম্যাচ জিততে শেষ তিনদিনে সফরকারীদের চাই ৪১৯ রান। হাতে কেবলই ৯ উইকেট।

আগের দিনের ৬ উইকেটে ৮৬ রান নিয়ে এদিন দারুণ শুরুর আভাস দেয় শ্রীলঙ্কা। বুমরাহর প্রথম দুই বলে ব্যাক টু ব্যাক চার, আগের দিনের ব্যর্থতা ঘুচিয়ে দিতেই যেন নিরোশান ডিকওয়েলার রঙিন শুরুর প্রচেষ্টা। তবে রোদ যত প্রখর হয়েছে ততই ফিকে হয়েছে ডিকওয়েলার রঙিন শুরুর স্বপ্ন। দিনের তৃতীয় ওভারে এম্বুলদুনিয়াকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের আরও খানিকটা চেপে ধরে ভারত। দলীয় ১০০ রান হতেই সাজঘরে ফেরেন সুরাঙ্গা লাকমল। ৫ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটারকে ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

প্রথম দুই বলে দুই চার মেরে দিনের শুরু করা ডিকওয়েলাকে ফেরান বুমরাহ। ২১ রান করা বুমরাহকে ফিরিয়ে টেস্টে প্রথমবার মতো ভারতের মাটিতে ৫ উইকেট নেয়ার স্বাদ নেন ডানহাতি এই পেসার। আর বিশ্ব ফার্নান্দোকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের মাত্র ১০৯ রানে অল আউট করে ভারত। যা ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। এর আগে ১৯৯০ রানে চণ্ডিগড়ে ৮২ রানে অল আউট হয়েছিল লঙ্কানরা। আগের দিনের সঙ্গে এদিন মাত্র ২৩ রান যোগ করা শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। এদিকে ভারতের হয়ে বুমরাহ ৫টি, শামি এবং অশ্বিন নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ১০৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১৪৩ রানের লিড পায় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪২ রান যোগ করেন রোহিত এবং মায়াঙ্ক আগারওয়াল। এম্বুলদুনিয়ার বলে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ২২ রান করা ডানহাতি এই ওপেনার। আরেক ওপেনার রোহিত আউট হয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির ঠিক আগে। ৪৬ রান করা ভারতের অধিনায়ককে সাজঘরে ফেরান ধনাঞ্জয়া।

Facebook
Twitter
LinkedIn