হঠাৎ করেই বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটঅ্যাপে ঢুকতে না পারার পর ৬ ঘণ্টা পর তা সচল হয়েছে। ফেসবুকের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ও রয়টার্স বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, বাংলাদেশ সময় সোমবার (৪ অক্টোবর) রাত পৌনে ১০টার পর থেকে এ সমস্যা দেখা দেয়। এরপর মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে সচল হয় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম।
এদিকে ডাউন ডিটেকটরে হোয়াটসঅ্যাপের জন্য প্রায় ৮০ হাজার মানুষ এবং ফেসবুকের জন্য ৫০ হাজারের বেশি রিপোর্ট করেছেন যে, তারা এসব ব্যবহার করতে পারছেন না।
ডাউন ডিটেকটর হচ্ছে একটি অনলাইন সাইট, যারা বিভিন্ন সাইট বা অনলাইন সেবা বিপর্যস্ত হলে তা নিয়ে তথ্য প্রকাশ করে।
ওয়েবসাইট মনিটরিং গ্রুপ ডাউনডিটেক্টর জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী এক কোটির বেশি মানুষ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারে সমস্যার কথা জানিয়েছেন।
টুইট বার্তায় ফেসবুক জানিয়েছে, বিশ্ব বিপুল পরিমাণ মানুষ ও ব্যবসায়িক কমিউনিটি যারা আমাদের ওপর নির্ভরশীল : আমরা দুঃখিত। আমরা অ্যাপ ও সেবা চালুর জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি এবং তারা অনলাইনে পুনরায় ফিরে এসেছে জানতে পেরে খুশি। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ইনস্টাগ্রাম টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ইনস্টাগ্রাম এখন ফিরে এসেছে কিন্তু ধীরে চলছে। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। দেরি হওয়ার জন্য দুঃখিত!
এর আগে ফেসবুকের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মাইক শ্রোফার টুইট করে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ‘আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন।’
এতো দীর্ঘ সময় ধরে সার্ভার ডাউন হওয়া ঘটনা বিরল। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ফেসবুক ও অন্যান্য অ্যাপে ১৪ ঘণ্টার মতো এ ধরনের সমস্যা হয়েছিল।
ফেসবুকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী এখন ২৯০ কোটি। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী এই পরিমাণ অ্যাকাউন্ট থেকে মাসে একবার হলেও ফেসবুকে লগইন করা হয়। এই ব্যবহারকারীদের ৪ কোটি ৮০ লাখের বাস বাংলাদেশে।
কেবল ভারতেই ফেসবুকের ৪১ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারের ৫৩ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী নিয়ে দেশটিতে তাদের বৃহত্তম বাজার রয়েছে। পাশাপাশি দেশটিতে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করছে প্রায় ২১ কোটি মানুষ।
ঠিক কী কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তা এখনো পরিষ্কার নয়। ফেসবুকের পক্ষ থেকেও ত্রুটির কারণ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তবে কারিগরি বিশেষজ্ঞরা ডোমেইন নেম সিস্টেম বা ডিএনএস ত্রুটি ছিল বলে ধারণা করছেন।
আবার কারও মতে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ সবই একটি বিজিপি কনফিগারেশনের সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।