সারাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য র্যাবের গোয়েন্দাসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে মাঠে। তারই ফলস্বরূপ গত ৭২ ঘণ্টায় নির্বাচনী সহিংসতার অভিযোগে একজন উপজেলা চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিসহ ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী বেশকিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আমরা দেখেছি, বিভিন্ন প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাকে কেন্দ্রে প্রার্থীদের অতিউৎসাহী সমর্থকদের কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, গত ৭২ ঘণ্টায় বগুড়ার একজন উপজেলা চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিসহ ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পাশাপাশি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে একাধিক লিখিত অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রিটার্নিং কর্মকর্তারা সেই তথ্য র্যাবকে দিয়েছেন। এ ধরনের কার্যক্রম চালাচ্ছে তাদের অনেককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে র্যাবের গোয়েন্দাসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্যে এমন কিছু রয়েছে যারা সহিংসতা করতে পারে তাদের বিষয়ে কাজ করছি। এসব ব্যক্তিকে নির্বাচনের আগে যদি তাদের পাওয়া যায় তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়োগের তথ্য রয়েছে কি-না জানতে চাইলে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, প্রার্থীর অনুসারীরা ভাড়াটিয়া ব্যক্তিদের নিয়োগের চেষ্টা করছে বা করতে পারে এমন তথ্য রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এ ধরনের সন্ত্রাসী বা আসামিদের আইনের আওতায় আনতে প্রক্রিয়া চলমান।