পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে ঘরমুখো মানুষের ঈদ যাত্রার সুবিধার্থে ৯ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলরত সব আন্তঃনগর ট্রেনের ডে-অফ বাতিল করা হয়েছে। ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেনের কোনও ডে-অফ (সাপ্তাহিক ছুটি) থাকবে না। এছাড়া ঈদের দিন কোনও আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।
বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে রেল ভবনের সম্মেলনে কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
রেলমন্ত্রী জানান, চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ৩ চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম; চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ২ ও ৪ চাঁদপুর-চট্টগ্রাম-চাঁদপুর; দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৫ ও ৬ ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা; ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮ চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম; ঈদ স্পেশাল ৯ ও ১০ সিলেট-চাঁদপুর-সিলেট রুটে ঈদের আগে ৪ দিন এবং ঈদের পরে ৫ দিন চলাচল করবে।
এছাড়া শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ১১ ও ১২ ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব বাজার; শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ১৩ ও ১৪ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শুধুমাত্র ঈদের দিন চলাচল করবে।
ঈদ স্পেশাল ১ ও ২ বী.মু.সি.ই (পঞ্চগড়)-জয়দেবপুর-বী.মু.সি.ই; ঈদ স্পেশাল ১৫ ও ১৬ ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা রুটে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল এবং ২৪-২৫ এপ্রিল চলাচল করবে।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ঈদের অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ৫৩টি (পাড়াতলী ওয়ার্কশপ থেকে ৪০টি এমজি ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ ৪টি এমজি ও ৯টি বিজি মোট ১৩টি) যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ২১৮টি (পূর্বাঞ্চল ১১৬টি ও পশ্চিমাঞ্চল হতে ১০২টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেনে ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান প্রমুখ।