প্রথম দুই ম্যাচে ৯ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। বল হাতে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে ব্যাট হাতেও ঝড় তুলেছে দলের ক্রিকেটাররা। আজ তৃতীয় ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। তবে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন দলে পাচ্ছেন না মুমিনুল হক সৌরভকে। শুধু এই ম্যাচেই নয় বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে আর দেখা যাবে না বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ককে। শেষ ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে ফিল্ডিং করার সময় ডান হাতের আঙ্গুলে আঘাত পান মুমিনুল হক। পরে জানা যায় আঙ্গুলে চিড় ধরেছে তার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন তার আর এই আসরে খেলা হচ্ছে না।
একই সংবাদ নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের ফিজিও মোহাম্মদ এনামুল হকও। এমন সংবাদে দলটির অধিনায়ক মোহম্মদ মিঠুন বলেন, ‘কাল (আজ) আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। মুমিনুল দুই ম্যাচেই অপরাজিত ছিল। আসলে ওর মতো একজন ব্যাটসম্যান একজন টিমম্যাট পাওয়া বেশ ভাগ্যের বিষয়। ও (মুমিনুল) গোটা আসরে খেলতে পারবে না, এটি আমদের জন্য খারাপ খবর। আমি ও আমরা ওকে বেশ মিস করবো।’ আজ দুপুরেই দুই দল মুখোমুখি হবে। বরিশাল প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করে। তবে দুই জয়ে শীর্ষে থাকা রাজশাহীকে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হারায় ৫ উইকেটে। এ জয়ে ব্যাট হাতে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেন তামিম। তার ব্যাট থেকে আসে ৭৭ রান।
শনিবার খুলনার বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় আঘাত পান মুমিনুল হক। ব্যাটিং করার সময় ব্যাথা অনুভব করেননি। তবে সন্ধ্যার পর আঙুল ফুলতে শুরু করে। পরে এক্সে করে দেখা যায় তার আঙুলে চিড় ধরেছে। এ বিষয়ে মুমিনুল বলেন, ‘ফিল্ডিংয়ের সময় বল আঘাত লাগে। তবে ব্যাট করতে সমস্যা হচ্ছিল না। তবে যত সময় গড়িয়েছে ততো ব্যথা বেড়েছে। আমি বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরীকে দেখিয়েছি। আমাদের ফিজিও এনাম ভাইও দেখেছেন। এক্সরে থেকে বুঝা গেছে আমার আর এই আসরে খেলা হচ্ছে না। এটি আসলে যে কোনো ক্রিকেটারের জন্যই খারাপ খবর। আমি এই আসর সত্যি মিস করবো।’ দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ওর সার্জারি লাগবে নাকি শুধু প্লাস্টার করলেই হবে। যে ইনজুরি তাতে আসরে ওর খেলা হচ্ছে না।’ চট্টগ্রাম দলের ফিজিও এনামুল হক জানান, চার সপ্তাহ সময় লাগবে মুমিনুলের সেরে উঠতে। চট্টগ্রাম দলে কে হচ্ছেন মুমিনুলের বিকল্প। এ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। এন বিষয়ে দলের ম্যানেজার শেখ সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে মুমিনুলের মতো একজন ক্রিকেটারের বিকল্প পাওয়া কঠিন। আমরা এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। প্রধান কোচকে জানানো হয়েছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে ড্রাফট থেকে মুমিনুলের মানের কাউকে নেয়া। যদিও তা বেশ কঠিন।’ মুমিনুল ছিটকে পড়ার দিনে চট্টগ্রাম দলে ফিরেছেন করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয়। প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী বেক্সিমকো ঢাকাকে ৮৮ রানে অল আউট করে ৯ উইকেটের জয় পায় চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনাকে একই ব্যবধানে হারায় তারা। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৮৬ রানে গুটিয়ে যায় জেমকন খুলনা। জবাবে লিটনের ফিফটিতে সহজ জয় পায় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। অন্যদিকে তামিম ইকবালের দল প্রথম ম্যাচে হেরে যায় খুলনার কাছে। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২২ রানের। ফরচুন বরিশালের অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে চার ছক্কা হাঁকান আরিফুল হক। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে দলকে জয় এনে দেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ১৩৩ রানের রানের টার্গেটে ব্যাট হাতে ৬১ বলে ৭৭ রান করেন তামিম।