২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৮:৩৯
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৮:৩৯

হলুদ শুধু রান্নায় নয়, রক্তক্ষরণ হলে এমনকি ব্যথা উপশমেও দারুণ কাজ করে। হলুদ বা হলুদ দুধের গুণাগুণ সম্পর্কে অনেকেই জানেন। কিন্তু হলুদমিশ্রিত পানি শারীরবৃত্তীয় কাজে বিশেষ উপকারে আসতে পারে, সে বিষয়টি হয়তো জানা নেই। 

হলুদমিশ্রিত পানি শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন দূর করে এবং সে সঙ্গে ভাইরাল জ্বর, সর্দি-কাশি এগুলো থেকে দূরে রাখে। উষ্ণ গরম পানির সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে পানে শারীরিক যে সমস্যাগুলো থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়, জেনে নিন। 

আরথ্রাইটিস: হলুদে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি আছে। যে কারণে হলুদমিশ্রিত পানি পানে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জয়েন্টে ও পেশীর ব্যথাও হলুদমিশ্রিত পানি পানে সহজেই কমে যায়। প্রতিদিন এক গ্লাস হলুদমিশ্রিত পানি পান করলে উপকার পাওয়া যায়।  

ওজন হ্রাস: হলুদ খুব দ্রুত হজমে সাহায্য করে। কারণ এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, পানির সঙ্গে পান করলে সহজেই মেটাবোলিজম বেড়ে যায় এবং ওজন হ্রাস হতে শুরু করে। তাই ওজন কমানোর ইচ্ছা থাকলে হলুদমিশ্রিত পানি পান করলে এটি আপনাকে দারুণ কাজ দিবে।

ইমিউনিটি বাড়ায়: হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন অনেক বেশি পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলেই সব ধরনের ভাইরাল জ্বর থেকে আপনি বাঁচতে পারেন।

ত্বকের জন্য উপকারী:  হলুদমিশ্রিত পানির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফর্মুলা ত্বকের জন্য ভালো এবং ত্বকের বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারে। এতে তারুণ্য যেমন ধরে রাখা যায় তার সঙ্গে স্কিনের যাবতীয় সমস্যাও দূর হয়। 

কীভাবে তৈরি করবেন হলুদমিশ্রিত পানি: প্রথমে এক গ্লাস পানি নিন, সঙ্গে সামান্য হলুদ গুঁড়া। পানিতে মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। সঙ্গে এক ফোঁটা তুলসীর রস যোগ করতে পারলে ভালো। এরপর ছেঁকে নিন মিশ্রণটি। কিংবা চাইলে  খানিকটা মধুও যোগ করতে পারেন। 

Facebook
Twitter
LinkedIn